বয়ফ্রেন্ড অতিরিক্ত প্রভাব খাটায়?

অন্যকে নিয়ন্ত্রণ করার প্রবণতা মানুষের স্বভাবজাত। তবে এই নিয়ন্ত্রণ করার মাত্রা বাড়াবাড়ি পর্যায়ে চলে গেলে সেটি কিন্তু কখনোই সুখকর হয় না।
অনেকের ক্ষেত্রে তো এমনও হয় সঙ্গীকে নিয়ন্ত্রণ করতে না পারলে অস্থির হয়ে পড়েন। আপনার বয়ফ্রেন্ডকেও কি এরকম স্বভাবের মনে হয়? আসলে প্রেমিক বা প্রেমিকা যেই করুক না কেন, এ ধরনের আচরণ সম্পর্ককে ক্ষতিগ্রস্ত করে।
বয়ফ্রেন্ড এভাবে প্রভাব খাটাতে থাকলে কীভাবে বিষয়টি ঠিকঠাক করতে পারেন, এ সম্পর্কে রইল কিছু পরামর্শ। পরামর্শ দিয়েছে জীবনধারা বিষয়ক ওয়েবসাইট বোল্ডস্কাই।
১. কেন সে সব ব্যপারে নাক গলায় খেয়াল করুন
কেন আপনার বয়ফ্রেন্ড সব বিষয়ে আপনাকে নিয়ন্ত্রণ করতে চায় বা নাক গলায় বিষয়টি ভালোভাবে খেয়াল করুন। বাজে শৈশব, বয়ঃসন্ধি বা প্রাপ্ত বয়স্ক হওয়ার সময় অনিশ্চয়তা, কারো কাছ থেকে প্রতারিত হওয়া- এগুলো বয়ফ্রেন্ডের অতিরিক্ত নিয়ন্ত্রণপ্রবণ আচরণের শেকড় হতে পারে।
এসব ক্ষেত্রে তাঁর সঙ্গে মা-বাবার মতো আচরণ করুন। নিরাপত্তাহীনতা থেকে বের হয়ে আসতে তাকে সাহায্য করুন।
২. চেষ্টা করুন প্রতিজ্ঞাবদ্ধ হতে এবং তাঁর কাছে বার্তাটি পৌঁছাতে
হতে পারে আপনার বয়ফ্রেন্ড বুঝতেই পারছে না যে সে আপনাকে নিয়ন্ত্রণ করার চেষ্টা করছে। এ ক্ষেত্রে আপনি তাকে জানাতে পারেন, তাঁর আচরণ আপনাকে কতটা কষ্ট দিচ্ছে। কথোপকথনের সময় ঠাণ্ডা মাথায় থাকুন এবং বুঝিয়ে বলুন বিষয়টি।
৩. তাঁর এ ধরনের আচরণ এড়িয়ে যান
সবসময়ই তাঁর আচরণকে মেনে নেবেন না। এতে তাঁর নিয়ন্ত্রণ করার প্রবণতা আরো খারাপ দিকে যেতে পারে। নিজের জায়গায় স্থির থাকুন এবং তাকে বোঝানোর চেষ্টা করুন।
৪. ভাবুন, বিষয়টি কি আপনার জন্য সঠিক
আপনার প্রতিটি কাজে, সে আপনাকে নিয়ন্ত্রণ করতে চাইলে বিষয়টি কিন্তু কারো জন্যই সুখকর হবে না। তাই কখনো কখনো কঠিন হোন এবং আপনার জন্য কোনটি সঠিক ভেবে দেখুন।
ধরুন, আপনার বয়ফ্রেন্ড আপনাকে বলল, তাঁর জন্য আপনার ক্যারিয়ার বিসর্জন দিতে। ভেবে দেখুন, কাজটি আপনার জীবনের জন্য কতটা ভালো বা মন্দ।
আর সে বড্ড বেশি নিয়ন্ত্রণ শুরু করলে অস্বাস্থ্যকর সম্পর্ক জিইয়ে রাখবেন কি না, ভেবে দেখুন।