যে তিনটি কারণে সম্পর্ক নষ্ট হয়

সম্পর্ক অনেক কারণেই নষ্ট হতে পারে। তবে দুজন মানুষের সম্পর্কের ক্ষেত্রে কিছু বিষয় ঘটতে পারে, যা তাদের সম্পর্ককে একেবারে শেষ করে দেয়। এই কারণগুলোর পেছনে দায়ী যে কেউ হতে পারে। ব্লুগ্যাপ ওয়েবসাইটে তিনটি কারণের কথা বলা হয়েছে, যা সম্পর্ক চূড়ান্তভাবে ধ্বংস করে দেয়। বিষয়গুলো দেখে নিতে পারেন :
যোগাযোগের অভাব
এটা সত্যি যে, অনেকেই দিনের মধ্যে খুব কম সময় নিজেদের মধ্যে কথা বলে। এটা ব্যস্ততার কারণে হয়, আবার ভালোবাসার ঘাটতির কারণেও হতে পারে। এই যোগাযোগের দূরত্বই সম্পর্ককে ধ্বংস করে দেয়। তাই যতটা সম্ভব নিজেদের মধ্যে যোগাযোগ রাখার চেষ্টা করুন। ব্যস্ততা থাকবেই, কিন্তু তাই বলে তো আর জীবন থেমে থাকবে না। একজন আরেকজনের খোঁজখবর না রাখলে সম্পর্ক এগোবে কী করে আর টানও বা হবে কী করে বলুন? তাই নিজেদের মধ্যে যোগাযোগের দূরত্ব কমিয়ে ফেলুন।
অতিরিক্ত চাপ প্রকাশ
নিজের অতিরিক্ত চাপ অনেক সময়ই সঙ্গীর ওপর প্রকাশ করে ফেলেন অনেকে। অর্থনৈতিক সমস্যা, অসুস্থতা, পেশাদার জীবনের জটিলতা, বিষাদ—এসব সমস্যার বাড়তি চাপ অনেক সময়ই অযাচিতভাবে প্রকাশ পেতে থাকে সঙ্গীর প্রতি। আর এ নিয়েই শুরু হয় সমস্যা। সঙ্গী আপনার সুখে-দুঃখে সঙ্গে থাকবে, এটা স্বাভাবিক। কিন্তু সব সময় আপনি যদি তাকে দোষারোপ করেন, তাহলে একটা সময় সে তিক্ত-বিরক্ত হয়ে যাবে। আপনার প্রতি তার শ্রদ্ধাবোধ নষ্ট হবে। আর এই অনুভূতি নষ্ট হলে সম্পর্ক টেকানো বেশ কষ্টসাধ্য বিষয় হয়ে দাঁড়াবে। তাই সঙ্গীর ওপর অতিরিক্ত চাপ প্রকাশ করবেন না। দুজন মিলে সব সমস্যা সমাধানের চেষ্টা করুন। প্রতিটি সিদ্ধান্তে দুজনেরই মত রাখার চেষ্টা করুন। তাহলেই দেখবেন, সম্পর্ক আবার আগের মতো হয়ে যাবে।
প্রযুক্তির অতিরিক্ত ব্যবহার
আজকাল অনেকেই পাশের মানুষটির চেয়ে পকেটের স্মার্টফোনটিকে বেশি সময় দিয়ে ফেলেন। এমনকি বাসায় ফিরে সঙ্গীর সঙ্গে কথা না বলে ল্যাপটপ, ট্যাব, মোবাইল, ফেসবুকে ব্যস্ত হয়ে পড়েন অনেকে। সঙ্গীর ভালো-মন্দ জানার চেয়ে ফেসবুকে কে কী করল, সেটা জানার আগ্রহ আমাদের অনেক বেশি থাকে। ঘুমাতে গেলে কেউ কারো সঙ্গে কথা না বলে বিভিন্ন টাইপের প্রযুক্তি নিয়ে ব্যস্ত হয়ে পড়েন। প্রযুক্তির প্রভাব জীবনে এমন পর্যায়ে গিয়ে ঠেকলে অনেক সময়ই সম্পর্কে বড় রকমের ফাটল ধরে, এমনকি বিচ্ছেদ ঘটাও অস্বাভাবিক নয়। কাজেই বিষয়টি মাথায় রাখতে হবে গুরুত্ব দিয়ে।