ত্বকের উজ্জলতা ফেরাবে ‘ডাবের পানি’? যেভাবে মুখে মাখবেন

রোদে পোড়া ত্বকের সমস্যা এখন নিত্যদিনের। কাজের প্রয়োজনে প্রতিদিনই আমাদের ঘরের বাইরে যেতে হয়। সারা দিনের ধুলা-বালি ও রোদের তাপে ত্বকে ছোট ছোট ফুসকুড়ি বা র্যাশ হচ্ছে। ত্বকের রঙ ধীরে ধীরে কালচে হতে থাকে। তাই মুখ ও ত্বকের কালো দাগ ও ছোপ কমানোর জন্য বাজারের প্রসাধনীর পরিবর্তে ভরসা রাখতে পারেন ঘরোয়া টোটকায়। এই গরমে ত্বকের পরিচর্যায় ব্যবহার করতে পারেন ডাবের পানি।
গরমে ডিহাইড্রেশন থেকে বাঁচতে ডাবের পানি খাওয়া খুবই উপকারি, তবে ডাবের পানি দিয়ে কিন্তু ত্বকের পরিচর্যাও করা যায়। বিশেষ করে ‘সানবার্ন’ থেকে বাঁচতে ডাবের পানির তুলনা নেই। সূর্যের অতিবেগনি রশ্মি দীর্ঘ সময় ত্বকে ঢুকলে তা থেকে ‘সানবার্ন’ হওয়া অস্বাভাবিক নয়। এতে ত্বক যেমন জ্বালা করে, তেমনই ব্রণ-র্যাশে ভরে যায়। এমনকি ত্বকের মেলানিন রঞ্জকেরও তারতম্য হতে পারে। তাই সানবার্ন যাতে না হয়, সেজন্য দামি প্রসাধনী ব্যবহারের প্রয়োজন নেই। ডাবের পানিতেই সমস্যার সমাধান হতে পারে।
কেন ডাবের পানি ত্বকের জন্য উপকারী?
ডাবের পানিতে থাকে সাইটোকাইন নামে যৌগ যা অকাল-বার্ধক্য রোধ করতে পারে। ত্বকে বলিরেখা পড়া আটকাতে পারে। তা ছাড়া ডাবের পানি অ্যান্টিঅক্সিডেন্টে ভরপুর, যা ত্বকের প্রদাহ কমাতে পারে। যে কোনো সংক্রমণ থেকেও ত্বককে বাঁচাতে পারে। কোলাজেন তৈরিতেও বিশেষ ভূমিকা নিতে পারে ডাবের পানি। এই পানি মুখে মাখলে ত্বকের মৃতকোষ দূর হবে, রোদে পোড়া জ্বালাও কমবে। ত্বকের কালচে দাগছোপ উঠে যাবে।
যেভাবে ব্যবহার করবেন
ফেসিয়াল টোনার
ডাবের পানির সঙ্গে গ্রিন টি মিশিয়ে নিয়ে টোনার হিসেবে ব্যবহার করতে পারেন। রোদে বের হওয়ার আগে মুখ পরিষ্কার করে এই টোনার লাগিয়ে নিলে ত্বকে কালচে ছোপ পড়বে না।
ফেস মাস্ক
ত্বক খুব শুষ্ক হলে পেঁপে বাটার সঙ্গে ডাবের পানি ও মধু মিশিয়ে মুখে মাখতে পারেন। সপ্তাহে তিন দিন এই মাস্ক মেখে ২০ মিনিট অপেক্ষা করে হালকা কুসুম পানিতে ধুয়ে নিতে হবে। তাহলেই ত্বক নরম ও মসৃণ থাকবে।
ত্বক খুব তৈলাক্ত হলে ডাবের পানির সঙ্গে মুলতানি মাটি মিশিয়ে মাস্ক বানিয়ে নিতে পারেন। সপ্তাহে তিনদিন এই মাস্ক ব্যবহার করলেই, অতিরিক্ত তেলতেলে ভাব চলে যাবে। ব্রণ-ফুসকুড়ির সমস্যাও কমবে।
স্ক্রাবিং
ফেস স্ক্রাব করার জন্য বাইরে থেকে স্ক্রাবিং মাস্ক কিনতে হবে না। বাড়িতেই এক কাপ ডাবের পানির সঙ্গে দুই চামচ চিনি বা কফি পাউডার মিশিয়ে মুখে মালিশ করুন। এতে ত্বকের মৃতকোষ, ধুলো ময়লা উঠে যাবে। তারপর মুখ ধুয়ে ময়েশ্চারাইজার মেখে নিতে হবে।