তিন গম্বুজ বিশিষ্ট শেখপুরা জামে মসজিদ

মোগল স্থাপত্যরীতিতে নির্মিত তিন গম্বুজ বিশিষ্ট শেখপুরা জামে মসজিদ । এই মসজিদটি যশোর জেলার কেশবপুর উপজেলার সাগরদাঁড়ি ইউনিয়নের শেখপুরা গ্রামে অবস্থিত।
গ্রামের নামেই মসজিদটির নামকরণ করা হয়েছে। মসজিদটি আরব দেশ থেকে ধর্ম প্রচার করতে এসে পীর সৈয়দ মাওলানা রিয়াজ উল্লাহ এই মসজিদের প্রতিষ্ঠাতা করেন বলে একটি সাইনবোর্ড দেওয়া রয়েছে। শেখপুর জামে মসজিদ ৪০০ বছর ধরে শিক্ষার আলো ছড়াচ্ছে ।
মহাকবি মাইকেল মধুসূদনের পৈতৃক নিবাস দেখতে আসা দর্শনার্থীরা এ মসজিদটিও ঘুরতে আসেন। প্রতিদিনই কম-বেশি দর্শনার্থী আসেন। তবে রমজান মাসে দর্শনার্থী কম থাকে।
কবি মাইকেল মধুসূদন দত্তের বাল্যকালের ‘পাঠশালা’ এই মসজিদ। এ মসজিদে শিশু মধুসূদন ফার্সি ও বাংলায় হাতেখড়ি হয়েছিল।
১৯৯৭ সালে বাংলাদেশ প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তর একে সংরক্ষিত পুরাকীর্তি হিসেবে নথিভুক্ত করে। পুরাকীর্তি হিসেবে নথিভুক্ত হওয়ার পর ২০০০ সালে মসজিদটি সংস্কার করা হয়।
তিন গম্বুজ বিশিষ্ট মসজিদটি মুঘল স্থাপত্যরীতিতে তৈরি। মসজিদের পূর্ব পাশে চারটি স্তম্ভের ওপর দাঁড় করানো একটি বারান্দা ছিল, যার ধ্বংসাবশেষ এখনও বিদ্যমান। মূল বারান্দা থেকে পূর্ব দিকে একটি ১ মিটার উঁচু দেয়াল রয়েছে। এ দেয়ালঘেরা চত্বরের দক্ষিণ ও উত্তর পাশে রয়েছে দুটি প্রবেশপথ।
স্থানীয় মুসল্লিরা জানান, মোঘল যুগের এ জামে মসজিদটি আজও ধর্মপ্রাণ মুসলমানদের ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় দাঁড়িয়ে আছে। মসজিদটির অবকাঠামো রক্ষায় এখন বড় ধরনের সংস্কার প্রয়োজন।
সার্বিক বিষয়ে প্রত্নতত্ত্ব অধিদফতরের সহকারী কাস্টডিয়ান মো. হাসানুজ্জামান বলেন, পুরাকীর্তি হিসেবে নথিভুক্ত হওয়ার পর ২০০০ সালে মসজিদটি সংস্কার করা হয়। নতুন করে সংস্কারের জন্য ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করা হয়েছে। শুনেছি কিছু বরাদ্দ পাওয়া যাবে এবং চলতি বছরেই সংস্কার কাজ শুরু হতে পারে।