ওমিক্রনে আক্রান্ত দুই নারী ক্রিকেটার নেগেটিভ হলেন

সম্প্রতি বিশ্বকাপের বাছাইপর্ব শেষে দেশে ফেরার পরপরই দুই নারী ক্রিকেটারের করোনায় আক্রান্তের খবর শোনা যায়। পরে আরও হতাশার খবর পাওয়া যায়, বহরে থাকা দুজনের শরীরে করোনার নতুন ধরন ওমিক্রন শনাক্ত হয়। অবশেষে আশার খবর এসেছে, তাঁদের পরীক্ষার ফল নেগেটিভ এসেছে।
বিসিবির মেডিকেল বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, ওমিক্রন শনাক্ত হওয়ার পর থেকেই লম্বা সময় কোয়ারেন্টিনে থাকতে হয়েছে দুই নারী ক্রিকেটারকে। ১৪ দিন পর পরীক্ষার ফল নেগেটিভ এসেছে।
এই দুই নারী ক্রিকেটারই বাংলাদেশে প্রথম অমিক্রন ধরনে আক্রান্ত হন। দুজনেরই উপসর্গ ছিল মৃদু। শারীরে কোনো সমস্যা ছিল না তাদের। দীর্ঘ কোয়ারেন্টিন শেষে আজ থেকে দুজনই বাইরে বের হতে পারবেন।
করোনা নেগেটিভ হয়েছেন নারী দলের একজন কোচিং স্টাফও। তবে তিনি অমিক্রনে আক্রান্ত ছিলেন না। তাঁরও কোয়ারেন্টিন শেষ হচ্ছে আজ।
এদিকে প্রথমবার নারী বিশ্বকাপের মূল পর্বে খেলা নিশ্চিত করেছে বাংলাদেশ। বাছাইপর্ব খেলতে তাঁরা আফ্রিকার দেশ জিম্বাবুয়েতে গিয়েছিলেন। সেখানে শুরুটা ভালো করেছিল বাংলাদেশ। এরপর করোনার নতুন ভ্যারিয়্যান্ট ওমিক্রন ছড়িয়ে পড়ার শঙ্কায় আইসিসি বাছাইপর্বের খেলা বাতিল করে। র্যাঙ্কিং অনুযায়ী বাছাইপর্ব থেকে বিশ্বকাপের মূল দলের টিকেট পেয়ে যায় বাংলাদেশ। একই সুবিধা পেয়েছে পাকিস্তান ও ওয়েস্ট ইন্ডিজ।
বাছাইপর্ব বাতিল হওয়ার পর থেকে দেশে ফেরার জন্য দীর্ঘ অপেক্ষা করতে হয় নারী দলকে। বিশ্বের বিভিন্ন দেশ আফ্রিকার দেশগুলোর সঙ্গে ফ্লাইট বাতিল করার কারণে শিডিউল জটিলতায় পড়েছিল বাংলাদেশ নারী ক্রিকেট দল। পরে চার্টার্ড ফ্লাইটে প্রথমে জিম্বাবুয়ে থেকে নামিবিয়া, পরে সেখান থেকে ওমানের রাজধানী মাসকাটে পৌঁছায় নারী ক্রিকেট দল। সেখান থেকে সরাসরি ফ্লাইটে ঢাকা এসে পৌঁছায় বাংলাদেশের নারী দল।