নারী বিশ্বকাপে ৯ জন নিয়েও খেলতে পারবে দল

আগামী মাসে নিউজিল্যান্ডের তাওরাঙ্গায় অনুষ্ঠিত হবে নারী ওয়ানডে বিশ্বকাপ। করোনার নতুন ধরন ওমিক্রণের প্রভাবে এর আগে মাঝপথেই ভেস্তে যায় বিশ্বকাপের বাছাইপর্ব। তবে এবার মূল পর্বে সবগুলো ম্যাচ আয়োজন করার পরিকল্পনা আইসিসির। তাই মূল টুর্নামেন্টে অন্তত ৯ জন ক্রিকেটার সুস্থ থাকলেই ম্যাচ অনুষ্ঠিত হবে।
আজ বৃহস্পতিবার এক সংবাদ বিবৃতিতে খবরটি জানিয়েছে আইসিসি। করোনার মধ্যেই পুরো টুর্নামেন্ট পরিচালনা করতে প্লেয়িং কন্ডিশনে এই পরিবর্তন এনেছে আইসিসি।
আইসিসির আইসিসির হেড অব ইভেন্ট ক্রিস টেটলি এ ব্যাপারে বলেন, ‘চলমান অবস্থায় প্রয়োজন হলে আমরা ৯ জন ক্রিকেটার নিয়ে কোনো দলকে মাঠে নামার অনুমতি দেব। বিকল্প হিসেবে আমরা দুজনকে খেলার অনুমতি দেব, তবে তারা বোলিং ও ব্যাটিং করতে পারবেন না, এটা কেবল ম্যাচটি চালিয়ে যাওয়ার জন্য।’
এর আগে মূল দলের সঙ্গে সফরসঙ্গী হিসেবে তিন জনকে দলের সঙ্গে রাখার অনুমতি দিয়েছে আইসিসি। মূল দলের ১৫ জনের কেউ করোনায় আক্রান্ত হলেই বাড়তি খেলোয়াড়রা খেলার সুযোগ পাবেন।
আগামী ৪ মার্চ মাঠে গড়াবে নারী বিশ্বকাপ। এবারের আসরে অংশ নেবে আটটি দল। রাউন্ড রবিন পদ্ধতিতে সব দলই একে অপরের মুখোমুখি হবে। টুর্নামেন্টে ম্যাচ হবে ৩১টি।
৫ মার্চ বাংলাদেশ দল প্রথম ম্যাচ খেলবে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে। ডানেডিনে ইউনিভার্সিটি ওভালে অনুষ্ঠিত হবে ম্যাচটি।
বাংলাদেশ দ্বিতীয় ম্যাচ খেলবে আগামী ৭ মার্চ, প্রতিপক্ষ নিউজিল্যান্ড। এরপর তাঁরা ১৪ মার্চ হ্যামিলটনে লড়বে পাকিস্তানের বিপক্ষে। ১৮ মার্চ প্রতিপক্ষ ওয়েস্ট ইন্ডিজ, ২২ মার্চ ভারত, ২৫ মার্চ অস্ট্রেলিয়া ও ২৭ মার্চ ইংল্যান্ডের বিপক্ষে খেলবে বাংলাদেশ নারী ক্রিকেট দল।
পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষে থাকা চারটি দল সেমিফাইনালে খেলবে। ৩ এপ্রিল ক্রাইস্টচার্চের হাগলি ওভালের ফাইনাল দিয়ে পর্দা নামবে নারী বিশ্বকাপের।