আর্সেনালের ভাগ্য বদলাল না

ঠিক যেটার ভয় করছিল আর্সেনাল সেটাই হলো। বায়ার্ন মিউনিখের কাছে ৫-১ গোলে হেরে চ্যাম্পিয়ন্স লিগ থেকে বিদায়ের পথে রয়েছে ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগের দলটি। গত মৌসুমেও ঠিক একই ব্যবধানে বাভারিয়ানদের কাছে হারে গানাররা। ইউরোপ সেরার লড়াইয়ে গত ছয় আসরেই শেষ ষোলো থেকে বিদায় নেয় আর্সেনাল। যার দুটি মৌসুমে বায়ার্নের কাছে হেরেই বিদায় নেয় দলটি। এই আসরেও মোটামুটি বিদায় নিশ্চিত আর্সেন ওয়েঙ্গারের দলের।
বায়ার্নের ঘরের মাঠ আলিয়াঞ্জ অ্যারেনায় শুরু থেকেই গোলের জন্য মরিয়া হয়ে ওঠে বায়ার্ন মিউনিখ। খেলার ১১তম মিনিটে কাঙ্ক্ষিত গোলটি পেয়েও যায় বাভারিয়ানরা। ২৫ গজ দূর থেকে অসাধারণ বাঁকানো এক শটে লাল উৎসবের শুরু করেন ডাচ তারকা আরিয়েন রোবেন। জটলার মধ্যে বল পেয়ে রোবনকে বল বাড়িয়ে দেন ব্রাজিলিয় ডিফেন্ডার ডগলাস কস্তা। বল পেয়েও বুলেট গতির শট নেন রোবেন।
সমতায় ফিরতে সময় নেয়নি আর্সেনাল। ডি বক্সের মধ্যে কোসিয়েলনিকে ধাক্কা মারেন রবার্ট লেভানদভস্কি। বাঁশি বাজাতে দেরি করেননি রেফারি। পেনাল্টি থেকে গোল করেন সানচেজ। প্রথম প্রচেষ্টায় অবশ্য গোল করতে পারেননি চিলির তারকা ফুটবলার। চতুর ম্যানুয়েল ন্যয়ার নিজের ডানদিকেই ঝাপিয়ে পড়েন আর ঠিক সেদিকেই শটটা নেন সানচেজ। ফিরতি বলে আবার শট নেন আর্সেনাল স্ট্রাইকার এবার গোলবারে লেগে ফিরে আসে বল। তৃতীয় প্রচেষ্টায় শেষ পর্যন্ত সমতায় ফেরান সানচেজ।
বিরতি থেকে ফিরে আর্সেনালের ওপর দিয়ে বড় রকমের একটা ঝড় বইয়ে দেয় স্বাগতিকরা। ৫৩ থেকে ৬৩ এই দশ মিনিটেই তিনটি গোল করে বায়ার্ন মিউনিখ। শুরুটা করেন রবার্ট লেভানদভস্কি। লামের পাসে বল পেয়ে হেডে বল জড়িয়ে দেন পোলিশ স্ট্রাইকার। ৫৬তম মিনিটে লেভানদভস্কির ব্যাক পাসে বল পেয়ে সহজ গোল করেন আলকানতারা। সাত মিনিট পর আবার গোল করেন এই স্প্যানিয়ার্ড। আর খেলা শেষের কয়েক মিনিট আগে আর্সেনালের কফিনে শেষ পেরেক মারেন থমাস মুলার।
আগামী ৭ মার্চ ফিরতি লেগে বায়ার্ন মিউনিখ খেলবে আর্সেনালের মাঠে।