জাপানকে কাঁদিয়ে শেষ আটে বেলজিয়াম
এবারের আসরের অন্যতম ফেভারিট দল বেলজিয়াম। কেউ কেউ আগ বাড়িয়ে বলছেন, সোনালী প্রজন্ম নিয়ে গড়া দলটি ফাইনালেও খেলতে পারে। অথচ শেষ ষোলোর ম্যাচে সে দলটির ভীত নাড়িয়ে দিয়েছে জাপান। অবশ্য দুই গোলে পিছিয়ে পড়েও শেষ পর্যন্ত এশিয়ার দলটির বিপক্ষে নাটকীয়ভাবে জিতেছে বেলজিয়াম, ৩-২ গোলে।
এই জয়ের সুবাদে ষষ্ঠ দল হিসেবে কোয়ার্টার ফাইনালে ওঠে বেলজিয়াম। এর আগে ব্রাজিল, ফ্রান্স, উরুগুয়ে, রাশিয়া ও ক্রোয়েশিয়া শেষ আটে জায়গা করে নেয়।
এদিন খেলার ধারার বিপরীতে জাপান দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেই এগিয়ে যায় (১-০)। ৪৮ মিনিটে দলকে এগিয়ে দেন জেনকি হারাগুচি। প্রতিপক্ষের রক্ষণভাগের ভুলে বলটি পয়ে চমৎকার শটে জালে জড়াতে ভুলেননি এই অভিজ্ঞ ফরোয়ার্ড।
অল্প কিছুক্ষণের মধ্যে ব্যবধান দ্বিগুণও করে ফেলে এশিয়ার প্রতিনিধি দেশটি। তাকাশি ইনুই করেন ব্যবধান দ্বিগুণ করা গোলটি। বক্সের সামনে বলটি পেয়েই চমৎকার শটে পরাস্ত করেন বেলজিয়াম গোলরক্ষককে।
দুই গোলে পিছিয়ে পড়ে বেলজিয়াম যে মোটেও ভেঙে পড়েনি, তার প্রমাণ অল্প কিছুক্ষণের মধ্যে ঘুরে দাঁড়ানো। দুর্বার জাপানের রক্ষণ ভেঙে ম্যাচের সমতায় ফিরে ৬৯ ও ৭৪ মিনিটে পরপর দুই গোল আদায় করে নেয় তারা।
৬৯ মিনিটে বেলজিয়ামের পক্ষে প্রথম গোলটি করে ব্যবধান কমান ডিফেল্ডার জ্যান ভার্টোংহেন (১-২)। কর্নার থেকে পাওয়া বলে চমৎকার শটে গোলটি করেন তিনি।
পাঁচ মিনিট পর খেলার সমতায় ফিরে বেলজিয়াম (২-২)। এবার গোলটি করেন বদলি খেলোয়াড় মরুয়ানে ফেলাইনি।
এর পর ইনজুরি সময়ে বেলজিযামের পক্ষে জয়সূচক গোলটি করেন নাসের চাডলি।
এর আগে ম্যাচের ২৫ মিনিটে এগিযে যেতে পারতো বেলজিয়াম, থরগান হ্যাজার্ডের ক্রসে লুকাকু পা ছোঁয়ালেই গোল, কিন্তু তিনি তা পারেননি।
প্রথমার্ধের ইনজুরি সময়ে গোলরক্ষকের ভুলে বেলজিয়াম একটি গোল হজম করতে বসেছিল, তবে এদিন বড় ব্যবধানে জিততে পারতো। তাদের অসংখ্যা আক্রমণ একা হাতে রুখে দিয়েছেন জাপান গোলরক্ষক। এর জন্য তিনি প্রশংসা পেতেই পারেন।