ব্যাটিং-ব্যর্থতায় নারী ক্রিকেটারদের হার
পাকিস্তানে রওনা হওয়ার আগে অধিনায়ক সালমা খাতুন বলেছিলেন, ‘আমাদের কোনো ভয় নেই। তা ছাড়া আমরা তো ক্রিকেট খেলতে যাচ্ছি, মারামারি দেখতে নয়।’ সন্ত্রাস আর বোমা হামলায় জর্জরিত পাকিস্তানে নারী ক্রিকেটারদের শুরুটা অবশ্য ভালো হয়নি। প্রথম টি-টোয়েন্টিতে ২৯ রানে হেরে গেছে সালমার দল।
করাচির সাউথএন্ড ক্লাব ক্রিকেট স্টেডিয়ামে ১২৫ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নামা বাংলাদেশকে উড়ন্ত সূচনা এনে দিয়েছিলেন আয়েশা রহমান। প্রথম ওভারেই দলকে দুটি চারসহ ৯ রান উপহার দেন তিনি। কিন্তু রানের গতি শ্লথ হয়ে গেছে প্রথম ওভারের পরেই। পাশাপাশি নিয়মিত বিরতিতে উইকেট পতন তো ছিলই।
আয়েশা ও ফারজানা হকের অবদান ২৩ রান করে। তবে ২৭ বল খেলা আয়েশার চেয়ে ফারজানার (৩৬) ব্যাট অনেক ধীরগতির ছিল। ৭ উইকেটে ৯৫ রানে থেমে যাওয়া অতিথিদের পক্ষে দুই অঙ্কের ঘরে যেতে পেরেছেন আর একজনই—২৩ বলে ২২ রান করা রুমানা আহমেদ। অধিনায়ক সালমার অবদান মাত্র ৫ রান।
এর আগে টস হারলেও শুরুটা দারুণ হয়েছিল বাংলাদেশের। প্রথম ওভারেই রানআউট হয়ে যান মেরিনা ইকবাল। তবে জাভেরিয়া খান ও বিসমাহ মারুফের দৃঢ়তায় ঘুরে দাঁড়ায় স্বাগতিক দল। দুজনের ৮৭ রানের জুটি পাকিস্তানকে বড় সংগ্রহের পথে এগিয়ে দিচ্ছিল। কিন্তু বাংলাদেশের বোলারদের দৃঢ়তা তা হতে দেয়নি।
জাভেরিয়াকে (৪৪) স্টাম্পিংয়ের ফাঁদে ফেলে অতিথিদের ম্যাচে ফেরানোর কৃতিত্ব নাহিদা আক্তারের। এরপর একাই লড়াই করা বিসমাহ অপরাজিত ছিলেন ৬৫ রানে। ১৭ রানে দুই উইকেট নিয়ে অভিষিক্ত নাহিদা বাংলাদেশের সেরা বোলার। একটি করে উইকেট নিয়েছেন জাহানারা আলম ও ফাহিমা খাতুন। নাহিদার পাশাপাশি অভিষেক হয়েছে উইকেটরক্ষক নিগার সুলতানারও। দুটি স্টাম্পিং ও একটি ক্যাচের সুবাদে গ্লাভস হাতে শুরুটা ভালোই হয়েছে তাঁর।
বৃহস্পতিবার একই মাঠে দ্বিতীয় ও শেষ টি-টোয়েন্টি খেলবেন সালমা-আয়েশারা। এর পর ৪ ও ৬ অক্টোবর দুটো ওয়ানডেতে মুখোমুখি হবে দুই দল।