আইয়ার দলে না থাকায় অবাক নায়ার

সর্বশেষ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপজয়ী দল ভারত এশিয়া কাপে যাচ্ছে ফেভারিট হিসেবে। দলে কারা জায়গা পাচ্ছেন এই নিয়ে চলছিল জল্পনা-কল্পনা। অবশেষে গতকাল (১৯ আগস্ট) দল ঘোষণার পর এখন চারদিকে সমালোচনার ঝড় বইছে। বিশেষ করে ফর্মে থাকা শ্রেয়াস আইয়ার ও যশস্বী জাইসওয়ালের জায়গা না পাওয়া নিয়ে অনেকেই প্রশ্ন তুলছেন। কথা উঠছে নিজ দেশের জনপ্রিয় ফ্রাঞ্চাইজি লিগ আইপিএলের পারফরম্যান্সকে সেভাবে বিবেচনা করা হয়নি এখানে।
শ্রেয়াসকে দলে না রাখা নিয়ে বিস্ময় প্রকাশ করেছেন ভারতের সাবেক অলরাউন্ডার ও ভারতীয় দলের সাবেক সহকারী কোচ অভিষেক নায়ার।
আইপিএল ২০২৫-এ শ্রেয়াস পাঞ্জাব কিংসের অধিনায়ক হিসেবে দুর্দান্ত পারফর্ম করেছেন। মিডল অর্ডারে ব্যাট করে তিনি ৫০-এর বেশি গড় ও ১৭৫-এর বেশি স্ট্রাইক রেটে ৬০৩ রান করেন তিনি। তার নেতৃত্বে পাঞ্জাব আইপিএল ফাইনাল খেলেছে। আইপিএলের রানের তালিকায়ও ছিলেন ৬ নম্বরে।
‘জিওহটস্টারে’ এক আলোচনায় নায়ার বলেন, ‘আমি কিছুতেই বুঝতে পারছি না বা কল্পনা করতে পারছি না, কী এমন কারণ থাকতে পারে যার জন্য শ্রেয়াস আইয়ারকে ২০ জনের দলে (রিজার্ভসহ) রাখা হয়নি। আমি শুধু চূড়ান্ত ১৫ জনের কথা বলছি না, ২০ জনের মধ্যেও তিনি নেই, যা পরিষ্কার বার্তা দেয় যে টি-টোয়েন্টি দৃষ্টিকোণ থেকে নির্বাচকদের ভাবনায় তিনি আর নেই।’
প্রধান নির্বাচক অজিত আগারকারের নেতৃত্বেই এশিয়া কাপের জন্য ভারতীয় দল ঘোষণা করা হয়েছে। শ্রেয়াসকে না নেওয়ার ব্যাপারে তার তরফ থেকেও ব্যাখ্যা এসেছে। তিনি বলেন, ‘শ্রেয়াসের ব্যাপারে বলতে গেলে, আমাদের আগে বলতে হবে সে কার বদলি হিসেবে আসবে। এটি তার দোষ নয়, আমাদেরও নয়। আমরা মাত্র ১৫ জনকেই বেছে নিতে পারি। এই মুহূর্তে তাকে অপেক্ষা করতে হবে তার সুযোগের জন্য।’
শুধু শ্রেয়াস নয়, আরও অনেক আইপিএল পারফর্মারকেও দলে রাখা হয়নি। আইপিএলের সর্বোচ্চ ৭৫৯ রান করে দলে সুযোগ পাননি সাই সুদর্শন। সর্বোচ্চ ২৫ উইকেট নিয়েও রিজার্ভ খেলোয়াড় হিসেবে আছেন প্রসিদ্ধ কৃষ্ণ। যশস্বী জয়সওয়াল আইপিএলে ৫৫৯ রান করেও আছেন রিজার্ভে।
নির্বাচকদের এমন সিদ্ধান্ত নিয়ে ক্রিকেট মহলে চলছে জোর আলোচনা। অনেকের মতে, যারা ধারাবাহিকভাবে ভালো খেলেছেন, তারা মূল দলে জায়গা পাননি। বিশেষ করে ওপেনার যশস্বীকে নিয়ে উঠেছে প্রশ্ন। প্রধান নির্বাচক অজিত আগারকার বলেন, ‘যশস্বীর ব্যাপারটা সত্যিই দুর্ভাগ্যজনক। অভিষেক শর্মা যেভাবে গত কয়েক মাস বা এক বছরের মতো সময়ে খেলেছে, আর সে বলও করতে পারে, এই দিকগুলো আমাদের বাড়তি অপশন দিয়েছে, যা মাঠে অধিনায়কের কাজে লাগতে পারে।’
অজিত আগারকার আরও বলেন, ‘এই ধরনের প্রতিযোগিতামূলক দলে, একজন না একজন বাদ পড়বেই। এবার দুর্ভাগ্যবশত যশস্বীকেই তার সুযোগের জন্য অপেক্ষা করতে হতে পারে।’
২০২৪ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ জয়ের পর ভারত এই সংস্করণে ২০টি ম্যাচের ১৬টিতে জিতেছে। অনেকেই মনে করছেন নির্বাচকরা মূলত দলে একটা স্থিতাবস্থা ধরে রেখে এগিয়ে যেতে চাইছেন। যাতে ধারাবাহিকতা বজায় রেখে সামনের পরিকল্পনাগুলো বাস্তবায়ন করা যায়। যেকারণে তারা পরিবর্তনের পথে না গিয়ে অভিজ্ঞ ও পরীক্ষিত খেলোয়াড়দের ওপরই ভরসা রেখেছেন।