আমাদের কেউ ঠেকাতে পারবে না : ডি ভিলিয়ার্স
দীর্ঘ প্রতীক্ষার পর অবশেষে দক্ষিণ আফ্রিকা বিশ্বকাপের নকআউট ম্যাচ জিততে পেরেছে। কোয়ার্টার ফাইনালে শ্রীলঙ্কাকে ৯ উইকেটে উড়িয়ে দেওয়া প্রোটিয়ারা এখন আত্মবিশ্বাসের তুঙ্গে। সেই আত্মবিশ্বাস এতটাই যে, এবি ডি ভিলিয়ার্স শিরোপার স্বপ্নে বিভোর। প্রতিপক্ষের প্রতি খানিকটা হুমকির সুরে দক্ষিণ আফ্রিকার অধিনায়কের ঘোষণা, বিশ্বকাপে তাঁদের শিরোপা জয়ের পথে কেউ বাধা হয়ে দাঁড়াতে পারবে না।
তবে যত আত্মবিশ্বাসই থাকুক, মঙ্গলবার প্রথম সেমিফাইনালে কঠিন চ্যালেঞ্জের সামনে পড়তে পারে প্রোটিয়ারা। অকল্যান্ডে তাদের সামনে বিশ্বকাপের সহ-আয়োজক নিউজিল্যান্ড। ঘরের মাঠে এমনিতেই কিউইরা দুর্ধর্ষ দল। তার ওপরে টুর্নামেন্টে তারা খেলছেও দুর্দান্ত।
তবে টানা সাত ম্যাচ জিতে সেমিফাইনালে পা রাখা নিউজিল্যান্ডের সামনে দাঁড়িয়েও ডি ভিলিয়ার্স অকুতোভয়। সোমবার সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেছেন, ‘এখন আমাদের মধ্যে অনেক আত্মবিশ্বাস। দল এ মুহূর্তে সত্যিই খুব ভালো অবস্থায় আছে। আমাদের সময়টাও ভালো কাটছে। তাই আত্মবিশ্বাসী হওয়ার অনেক কারণও রয়েছে। নিজেদের সামর্থ্য অনুযায়ী খেলতে পারলে এই টুর্নামেন্টে কেউ আমাদের ঠেকাতে পারবে না।’
বিশ্বকাপে এর আগে ছয়টি মুখোমুখি লড়াইয়ের চারটিতেই নিউজিল্যান্ডের কাছে হার মেনেছে দক্ষিণ আফ্রিকা। ২০০৩, ২০০৭ ও ২০১১ বিশ্বকাপে প্রোটিয়াদের হারিয়ে অন্য রকম এক ‘হ্যাটট্রিক’ও করেছে কিউইরা। তবে অতীত নিয়ে মাথা না ঘামিয়ে ডি ভিলিয়ার্স তাকিয়ে সামনের দিকে, ‘আমাদের অতীত নিয়ে অনেক ঘাঁটাঘাঁটি হয়েছে। বিশ্বকাপে দক্ষিণ আফ্রিকার ব্যর্থতা নিয়েও কম কথা হয়নি। আমাকে অনেক আবেগময় কথাবার্তার ভেতর দিয়ে যেতে হয়েছে। এর বিরুদ্ধে লড়াই করেছি, কখনো মেনে নিয়েছি, কখনো আবার লড়াই করছি। সত্যি বলতে কি, এখন আর আমি এসবকে গুরুত্ব দিতে রাজি নই। আমরা জানি, ভালো খেলতে পারলে অবশ্যই জয় পাব। একটা ক্রিকেট দল হিসেবে নিজেদের সামর্থ্যের ওপরে আমাদের যথেষ্ট আস্থা আছে। অতীতে বিশ্বকাপে অনেক কঠিন পরিস্থিতির ভেতর দিয়ে আমাদের যেতে হয়েছিল। তবে এবার আমরা একদম সতেজ। কালকের ম্যাচটা নিয়ে ভীষণ রোমাঞ্চিতও।’