‘চোকার্স’ তকমা নিয়ে কী বললেন বাভুমা?

বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ ফাইনালের চতুর্থ দিনে দক্ষিণ আফ্রিকা জয় থেকে মাত্র ৬৯ রান দূরে ছিল। প্রোটিয়া অধিনায়ক টেম্বা বাভুমা জানান অস্ট্রেলিয়ার এক খেলোয়াড় এইদিন তাকে ‘চোকার্স’ বলে খোঁচা দেয়। তবে সেই বিষয়টিকে পেছনে ফেলে তারা লর্ডসে পাঁচ উইকেটে জিতে টেস্টে বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন হয়েই ফিরেছে। অস্ট্রেলিয়াকে হারিয়ে ২৭ বছরের শিরোপা খরা কাটিয়েছে মার্করাম-বাভুমারা।
প্রোটিয়া অধিনায়ক বাভুমা ম্যাচ-পরবর্তী সংবাদ সম্মেলনে জানান, অস্ট্রেলিয়ার একজন খেলোয়াড় তাকে দক্ষিণ আফ্রিকার আইসিসি নক আউট পর্বের ব্যর্থতার কথা স্মরণ করিয়ে দেয়। বাভুমা বলেন, ‘চোকার্স হিসেবে আমাদের যে তকমা, সেইটা আজ সকালে আবার উঠে আসে। ওদের একজন বলছিল আমরা এখনও অলআউট হতে পারি... আমি সেটা স্পষ্টভাবে শুনেছি।’
এই বিষয়টি নিয়ে মার্করামকে জিজ্ঞেস করা হলে তিনি বলেন, “এই শব্দটা আর শুনতে না হলে সত্যিই ভালো লাগবে।”
চ্যাম্পিয়ন হওয়ার পথটা সহজ হয়েছে মার্করাম-বাভুমার ১৪৭ রানের জুটিতেই। ওপেনার এইডেন মার্করামের শতরানের ইনিংসের (১৩৬ রান) পাশাপাশি অধিনায়ক বাভুমা হ্যামস্ট্রিং ইনজুরি নিয়েই খেলেন ৬৬ রানের ইনিংস। তিনি জানান, ‘আমি শতভাগ ফিট ছিলাম না, কিন্তু মনে হচ্ছিল যে আমি আমার কাজটি করে যাওয়ার জন্য যথেষ্ট ভালো অবস্থায় আছি। এটা একটা কঠিন সিদ্ধান্ত ছিল, অনেকটা ইগোর ওপর ভিত্তি করে নেওয়া সিদ্ধান্ত, তবে ফলাফল যেটাই হোক তা মোকাবিলা করতে প্রস্তুত ছিলাম।’
কাইল ভেরেইনা যখন চার মেরে প্রেটিয়াদের জয় নিশ্চিত করে, চারপাশে সতীর্থদের উদযাপন চললেও বাভুমা তখন মাথা নিচু করে চুপচাপ বসেছিলেন। তিনি বলেন, ‘সেই মুহূর্তে গত কয়েক বছরের অভিজ্ঞতা মনে পড়ছিল। দক্ষিণ আফ্রিকার অধিনায়ক হওয়া সহজ নয়। অনেক ত্যাগ, হতাশা সব কিছু তখন অর্থপূর্ণ মনে হচ্ছিল। শুধু একজন কৃষ্ণাঙ্গ আফ্রিকান ক্রিকেটার হিসেবে নয়, বরং দেশ যা চেয়েছিল তা অর্জন করতে পেরেছে এমন একজন ব্যক্তি হিসেবে দেখতে চাই। এটা এমন কিছু যা আমি গর্বের সঙ্গে বহন করবো।’
অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ফাইনাল জিতে অধিনায়ক বাভুমা তাদের বিপক্ষে সহজ প্রতিপক্ষ পাওয়ার অভিযোগের বিষয়টি উড়িয়ে দেন। তিনি মনে করেন ঐতিহাসিক লর্ডসে ফাইনালেই সব জবাব দেওয়া হয়েছে।
একদম শেষে দেশের টেস্ট ক্রিকেটের ভবিষ্যৎ নিয়ে আশা দেখিয়ে বাভুমা বলেন, ‘আমরা আরও টেস্ট খেলতে চাই, বড় দলগুলোর বিপক্ষে খেলতে চাই। আমার মনে হয়, টেস্টকে আকর্ষণীয় করে তোলার ক্ষেত্রে এটি আমাদের আরও অনেকদূর এগিয়ে নিয়ে যাবে।’
প্রোটিয়া অধিনায়ক আরো বলেন, ‘দেশের জন্য এটা আমাদের উদযাপন করার সুযোগ, সকল সমস্যা ভুলে গিয়ে একত্রিত হওয়ার সুযোগ। আমরা আশা করছি এটা নতুন কিছুর শুরু।’