কতটা প্রস্তুতি নিয়ে দুবাই গেল বাংলাদেশ?
![](http://103.16.74.218/sites/default/files/styles/big_3/public/images/2025/02/14/bd_squad-ct-bcb.jpg)
চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির ফরম্যাট ওয়ানডে। বিপিএলের ডামাডোলে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির প্রস্তুতি সেভাবে নিতে পারেনি বাংলাদেশ। ওয়ানডে না খেললেও টি-টোয়েন্টিতে ব্যস্ত ছিলেন ক্রিকেটাররা। অংশ নিতে যাওয়া ৮ দলের প্রায় সবাই ৫০ ওভারের ম্যাচের মধ্যে থাকলেও এদিক থেকে বাংলাদেশ খানিক পিছিয়েই ছিল বলা চলে।
অন্যদিকে, খেলার মধ্যেই তো ছিলেন স্কোয়াডে সুযোগ পাওয়া ক্রিকেটাররা। মেহেদী হাসান মিরাজ, মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ, তানজিদ তামিম, তাসকিন আহমেদ, জাকের আলী অনিক, রিশাদ হোসেনরা তো নিজেদের মেলে ধরেছেন বিপিএলে। অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত খেলার মধ্যে না থাকলেও চ্যাম্পিয়ন ফরচুন বরিশালের অংশ তিনি। সেরাদের ড্রেসিংরুমে থাকার বাড়তি অনুপ্রেরণা থাকছে তার সঙ্গী হিসেবে। দেশ ছাড়ার আগে সংবাদ সম্মেলনে শান্ত জানিয়েছিলেন, মাঠে না থাকায় তার বরং সুবিধা হয়েছে। নিজেকে ঝালাই করার সময় পেয়েছেন।
তাসকিন আহমেদ ছাড়াও পেস বিভাগে তানজিম সাকিব, নাহিদ রানাদের প্রতি আস্থা এখন সবার। বাংলাদেশের পেস বিভাগ সবার সঙ্গে পাল্লা দিয়ে খেলতে পারে এখন। তুলতে পারে গতির ঝড়। নিজেদের দিনে তছনছ করে দিতে পারে প্রতিপক্ষকে।
মাহমুদউল্লাহর সঙ্গে এই দলে সবচেয়ে অভিজ্ঞ ও সিনিয়র আছেন মুশফিকুর রহিম। বিপিএলে তিনিও চ্যাম্পিয়ন। ২০১৭ সালে হওয়া সর্বশেষ চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে সেমি ফাইনাল খেলেছিল বাংলাদেশ। সেবারের দলে মাহমুদউল্লাহ-মুশফিক দুজনই ছিলেন। মাহমুদউল্লাহ এখন বাংলাদেশ দলের বড় ভরসা। মুশফিক তো বরাবরই মিস্টার ডিপেন্ডেবল।
স্কোয়াডের বিশেষজ্ঞ স্পিনার নাসুম আহমেদ পরীক্ষিত ক্রিকেটার। বাঁ’হাতের ভেলকি দেখিয়ে নিজের দিনে খাবি খাওয়ান প্রতিপক্ষকে। সৌম্য সরকার নিজেকে ফিরে পেয়েছেন। যেদিন ছন্দে থাকেন, অপর পাশে প্রতিপক্ষ কে, সেদিকে তাকান না সৌম্য। তার সামর্থ্য নিয়ে কখনোই প্রশ্ন ছিল না। ধারাবাহিক হতে পারলে এবার চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে বাংলাদেশকে ভালো শুরু এনে দিতে বড় ভূমিকা রাখতে পারবেন তিনি।
তরুণ দুই তুর্কি তাওহিদ হৃদয় ও পারভেজ হোসেন ইমনকে নিয়ে শঙ্কা নেই কারও। হৃদয় নিজেকে প্রমাণ করেছেন আগেই। মিডল অর্ডারে দলের অন্যতম সেরা ব্যাটার তিনি। চিটাগং কিংসের হয়ে বিপিএলে ভালো করেছেন ইমন। তবে, মুস্তাফিজুর রহমান নামের প্রতি সুবিচার করতে পারছেন না অনেকদিন ধরেই। কাটার মাস্টার জ্বলে উঠলে দলের কাজ কতটা সহজ হয়, তা তো বিশ্ব দেখেছে বহুবার।
বাংলাদেশের এই দলটা ভারসাম্যপূর্ণ। ফরম্যাট যেমনই হোক, প্রস্তুতি হয়েছে। বিপিএল শেষে অনুশীলন করেছে দেশে। মূল আসর শুরুর আগে হাতে অবশ্য সময় আছে। এরমধ্যে সুযোগ পাচ্ছে একটি প্রস্তুতি ম্যাচ খেলারও। বাংলাদেশের একমাত্র প্রস্তুতি ম্যাচ আগামী ১৭ ফেব্রুয়ারি। পাকিস্তান শাহিনসের বিপক্ষে দুবাইয়ের আইসিসি ক্রিকেট একাডেমিতে অনুষ্ঠিত হবে ম্যাচটি।
১৯ ফেব্রুয়ারি থেকে শুরু হবে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি। বাংলাদেশের প্রথম ম্যাচ ২০ ফেব্রুয়ারি, ভারতের বিপক্ষে দুবাইয়ে। ফলে, পাকিস্তান শাহিনসের সঙ্গে প্রস্তুতি ম্যাচটি দলের জন্য হতে পারে পরিবেশের সঙ্গে মানিয়ে নেওয়ার দারুণ সুযোগ। সঙ্গে শেষ আসরে সেমিতে খেলার সুখস্মৃতি আর শান্তদের চ্যাম্পিয়ন হওয়ার মানসিকতা তো আছেই।
চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে বাংলাদেশের স্কোয়াড
নাজমুল হোসেন শান্ত (অধিনায়ক), মেহেদী হাসান মিরাজ (সহ-অধিনায়ক), সৌম্য সরকার, তানজিদ তামিম, তাওহিদ হৃদয়, মুশফিকুর রহিম, মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ, জাকের আলী অনিক, রিশাদ হোসেন, তাসকিন আহমেদ, মুস্তাফিজুর রহমান, পারভেজ হোসেন ইমন, নাসুম আহমেদ, তানজিম সাকিব, নাহিদ রানা