দর্শকের আক্ষেপ আর বাফুফের ‘অনলাইন এক্সপেরিমেন্টে’ শেষ টিকিট বিক্রি

এভাবে চাইলে সোনার হরিণও বোধহয় পাওয়া যেত! বাংলাদেশ-সিঙ্গাপুর ম্যাচের টিকিট ছাড়িয়ে গেছে সোনার হরিণকেও। দুদিনে দুবার ডাউন হয়েছে টিকিফাইয়ের সার্ভার। মোবাইলফোন কিংবা কম্পিউটারের পর্দায় আগ্রহীরা বসে ছিল অধীর হয়ে। এই বুঝি সার্ভার ঠিক হবে, এবার বুঝি তারা নিতে পারবেন আরাধ্য টিকিট।
ম্যাচের টিকিট প্রথম ছাড়া হয় ২৪ মে। অল্প কিছুক্ষণের মধ্যে সার্ভার ডাউন হয়। প্রথমত প্রবল ট্রাফিকে, দ্বিতীয়ত সাইবার হামলার শিকার। নানা ঝক্কি পেরিয়ে দুদিন বিরতির পর ২৬ মে রাত ১০টায় শুরু হয় টিকিট বিক্রি। সবাই আবার হুমড়ি খেয়ে পড়ে এবং দুই ঘণ্টা না যেতেই সমস্যা দানা বাধে! এই ম্যাচের অফিসিয়াল টিকিট পার্টনার টিকিফাইয়ের সার্ভারে ভেসে ওঠে, ‘আপনি এখন লাইনে আছেন। ধৈর্য ধরার জন্য ধন্যবাদ।’
ধৈর্য মহত্বের লক্ষণ। দর্শকরা ধৈর্য ধরেছেন। ধৈর্যের ফল না কি মিঠে হয়! কেউ সেই মিঠে ফল পেয়েছেন অনেক চেষ্টার পর। আর কারও কারও চেষ্টা হয়ে গেছে, লেবু বেশি চিপার মতো তেতো। বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের (বাফুফে) দেওয়া টিকিট সংক্রান্ত পোস্টের নিচে মন্তব্যগুলোতে ফুটে উঠেছে হাহাকার ও ক্ষোভ। মঙ্গলবার (২৭ মে) দুপুর নাগাদ টিকিট বিক্রি বন্ধ করে দেয় টিকিফাই। স্ক্রিনে লেখা ওঠে, ‘টিকিট বিক্রি বন্ধ।’ ৯টি ক্যাটাগরির প্রতিতেই টিকিট সোল্ড আউট।
দুদিন মিলিয়ে কয়েক দফায় মাত্র কয়েক ঘণ্টায় বিক্রি হয়েছে টিকিট। দর্শকের উদ্দেশে ছাড়া ১৮ হাজারের বেশি টিকিট নিমিষে শেষ। তাতে খুশি হওয়ার কথা ফুটবলপ্রেমিদের। অথচ, টিকিফাইয়ের সিস্টেম কিংবা বাফুফের ‘অনলাইন এক্সপেরিমেন্টে’ নাখোশ তারা।
রাজধানীর কলাবাগানে থাকা রাইসুল মেহেদি নামক এক শিক্ষার্থী এই প্রতিবেদককে বলেন, ‘অনলাইনে টিকিট ছাড়ার ব্যাপারটি দারুণ। কিন্তু, টিকিফাইয়ের সিস্টেম বেশ জটিল। এত বড় একটি ইভেন্টে বাফুফের উচিত ছিল আরও যাচাই-বাছাই করে কোনো প্রতিষ্ঠানকে দায়িত্ব দেওয়া। দুদিন ধরে ঘণ্টার পর ঘণ্টা চেষ্টা করেও টিকিট পাইনি।’
নিহাদ জামান নামক করপোরেট চাকরিজীবী বলেন, ‘অনেক আশা ছিল খেলা দেখব। অফিসের ফাঁকে টিকিট কেনার চেষ্টা কম করিনি। কিন্তু, ধৈর্য ধরে রাখতে পারিনি শেষ পর্যন্ত। খেলা দেখতে পারব না মাঠে গিয়ে। বাফুফের প্রতি আহ্বান থাকবে, এরপর থেকে যেন অনলাইন টিকিটিং সিস্টেমটা সহজ হয়। তখন টিকিট না পেলেও কষ্ট লাগবে না।’