যুক্তরাষ্ট্রে ২০২৬ বিশ্বকাপ খেলতে পারবে ইরান?

বিশ্ব ফুটবলের মহারণ ফিফা বিশ্বকাপের আগামী আসর হবে যৌথভাবে তিন দেশে। যেখানে কানাডা ও মেক্সিকোর সঙ্গে সহ-আয়োজক হিসেবে থাকবে যুক্তরাষ্ট্রও। ইতোমধ্যে বিশ্বকাপের কাউন্ট ডাউন শুরু করে দিয়েছে বিশ্ব ফুটবলের নিয়ন্ত্রক সংস্থা ফিফা। কিন্তু বিশ্বকাপের আগামী আসরের আগেই আওয়োজক যুক্তরাষ্ট্রকে নিয়ে প্রশ্ন উঠছে।
এখন পর্যন্ত ২০২৬ বিশ্বকাপে খেলা নিশ্চিত করেছে ১৩টি দেশ। যার মধ্যে রয়েছে এশিয়ার দেশ ইরানও। গত মার্চে বাছাই পর্বের মাধ্যমে টানা চতুর্থবার বিশ্বকাপে খেলা নিশ্চিত করে ইরান। মূলত তাদের নিয়েই তৈরি হয়েছে উদ্বেগ। আগে থেকেই যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে রাজনৈতিক বৈরী সম্পর্ক ইরানের। দেশটির ওপর বিভিন্ন নিষেধাজ্ঞা দিয়ে রেখেছে যুক্তরাষ্ট্র। সেগুলোর মধ্যে একটি, যুক্তরাষ্ট্রে ইরানি নাগরিকদের ভ্রমণে কড়াকড়ি।
ইসরায়েলের সঙ্গে ১২ দিন ধরে যুদ্ধ চলছে ইরানের। যেই যুদ্ধে সরাসরি জড়িয়ে পড়েছে যুক্তরাষ্ট্রও। ডোনাল্ড ট্রাম্পের নির্দেশে ইরানের শান্তিপূর্ণ পারমাণবিক স্থাপনায় হামলা চালিয়েছে মার্কিন বিমান বাহিনী। এরপরই প্রশ্ন উঠছে এমন অবস্থায় যুক্তরাষ্ট্রে খেলতে যেতে পারবে তো ইরান। ফিফার নিয়মে অবশ্য কোনো বাধা নেই। তবে যুদ্ধরত কোনো দেশের বিশ্বকাপে নিষেধাজ্ঞায় পড়ার ঘটনাও আছে। ইউক্রেনে হামলার পর রাশিয়াকে আন্তর্জাতিক ফুটবল থেকে নিষিদ্ধ করেছে ফিফা ও উয়েফা।
একটি বিকল্প ব্যবস্থাও অবশ্য খোলা আছে। যেখানে ইরান যুক্তরাষ্ট্র ভ্রমণ ছাড়াই বিশ্বকাপ শেষ করতে পারবে। সেক্ষেত্রে ইরানকে থাকতে হবে ‘এ’ গ্রুপে। এই গ্রুপে থাকা দলগুলো গ্রুপ পর্ব খেলবে মেক্সিকোতে। ইরান যদি পর্ববর্তী রাউন্ড নিশ্চিত করে তবুও তারা মেক্সিকোতেই খেলতে পারবে। কিন্তু প্রশ্ন হলো- ‘এ’ গ্রুপে কি ইরানকে সুযোগ করে দেওয়া হবে?

বিষয়টি ফিফা সভাপতি জিয়ান্নি ইনফান্তিনোর কাছে জানতে চেয়েছিল ‘দ্যা গার্ডিয়ান।’ ফিফা সভাপতি অবশ্য এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করেননি।
ফিফার আয়োজক কমিটির সদস্য কানাডা, মেক্সিকো ও ইরানের প্রতিনিধি। এই কমিটির সভাপতি উয়েফার সভাপতি আলেক্সান্ডার সেফরিন। যিনি ২০২২ সাল থেকে ইউক্রেন ও বেলারুশকে উয়েফার প্রতিযোগিতা থেকে বিরত রেখেছে। আসন্ন বিশ্বকাপে ইরানকেও একইভাবে বিশ্বকাপের বাইরে রাখলে অবাক হওয়ার কিছু থাকবে না।