বিশ্বকাপ জিতে ব্রাজিলের পাশে বসতে চায় জার্মানি

২০১৪ সালের বিশ্বকাপে অপ্রতিরোধ্য ছিল জার্মানি। ব্রাজিলের ঘরের মাঠে তাদেরকে সেমিফাইনালের সেই ম্যাচে নাকানি-চুবানি খাওয়ানো তো জায়গা করে নিয়েছে ইতিহাসের পাতায়। কিন্তু পরের দুই বিশ্বকাপে মুদ্রার ঠিক উল্টোপিঠ দেখে জার্মানরা। বিদায় নিয়েছে গ্রুপ পর্ব থেকেই। ইউরোতেও যেতে পারেনি সেমিফাইনাল পর্যন্ত।
দুঃসময়ের অন্ধকার গলিতে আটকে যাওয়া জার্মান ফুটবলকে এবার আলোর পথ দেখাতে চান কোচ ইউলিয়ান নাগেলসমান। আগামী বছর অনুষ্ঠেয় বিশ্বকাপের শিরোপা উঁচিয়ে ধরতে চান তিনি। পঞ্চম ট্রফি জিতে সর্বোচ্চ ট্রফি জয়ে যৌথভাবে ব্রাজিলের পাশে বসতে চান।
অবশ্য এখনো বিশ্বকাপ বাছাই শুরু করেনি জার্মানি। আজ বৃহস্পতিবার রাতে স্লোভাকিয়ার বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে বিশ্বকাপ বাছাই শুরু করবে জার্মানি। পরের ম্যাচে রোববার তাদের প্রতিপক্ষ নর্দান আয়ারল্যান্ড। তবে এখন থেকেই শিরোপায় চোখ রাখছেন নাগেলসমান।
ম্যাচ পূর্ববর্তী সংবাদ সম্মেলনে এসে নাগেলসমান বলেন, ‘লক্ষ্য ঠিক করা সবসময়ই ভালো। লক্ষ্য ঠিক না করে ও সেটির পেছনে না ছুটে কোনো দল বা ব্যক্তির জন্য জীবনে এগিয়ে যাওয়া কঠিন। আমার মনে হয়, এটি ভালো লক্ষ্য যে আমরা বিশ্বকাপ জিততে চাই। আমি শতভাগ নিশ্চিত যে, আমার দলের কোনো ফুটবলারই এখানে ভিন্ন কিছু বলবে না। ভিন্ন কিছু ভাবলে পথচলার সঙ্গী হওয়ার প্রয়োজন নেই।’
বিশ্বকাপ বাছাইয়ে জার্মানদের গ্রুপের অন্য দল লুক্সেমবার্গ। শক্তি-সামর্থের বিবেচনায় গ্রুপের পরিষ্কার ফেভারিট জার্মানি। তবে পঁচা শামুকে পা-কাটার মতো কোনো ঘটনা ঘটতে দিতে চান না নাগেলসমান। প্রতিপক্ষকে শক্তিশালী ভেবেই মাঠে নামবে তার দল।
নাগেলসমান বলেন, ‘সেখানে (বিশ্বকাপে) না যাওয়া পর্যন্ত প্রতিটি ম্যাচেই প্রক্রিয়া অনুসরণ করতে হবে আমাদের। লক্ষ্য যেহেতু আমাদের বড়, কোনো সময়ই নিজেদের নিয়ে সংশয়ে পড়া যাবে না। লক্ষ্য অর্জনের পথে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হলো প্রক্রিয়া।’
নাগেলসমান যখন জার্মানির দায়িত্ব নেন, দল তখন ঘোর অন্ধকারে নিমজ্জিত। ফুটবলে রাতারাতি সবকিছু পরিবর্তন করে ফেলা সম্ভব নয়। তিনিও সেটা পারেননি। নাগেলসমানের কোচিংয়ে প্রথম বড় কোনো টুর্নামেন্টে অংশ নিয়েছিল গত ইউরোতে। কোয়ার্টার-ফাইনাল থেকে বাদ পড়েছিল জার্মানি। পরে নেশন্স লিগেও তারা হেরে যায় পর্তুগাল ও ফ্রান্সের কাছে।
তবে অতীত মনে রাখতে চান না নাগেলসমান। নতুন করে বিশ্বকাপ বাছাইয়ের মিশনে দাপুটে শুরু করতে চান তিনি। জার্মান কোচ বলেন, ‘ব্যাপারটি হলো ছন্দের। আশা করি দল হিসেবে আমরা থিতু হতে পারব, গত দুটি পরাজয়ের পর অমন মুহূর্তগুলি আরও কম আসবে। সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হলো ম্যাচ জেতা এবং বাছাইপর্ব উতরানো। আশা করি সেটা আমরা দাপটেই করতে পারব।’