যে তিন মাঠে হবে এনসিএল টি-টোয়েন্টি

ক্রিকেটারদের অনেকদিনের চাওয়া ছিল বিপিএলের বাইরে আরেকটি টি-টোয়েন্টি টুর্নামেন্ট আয়োজন করা। সেই চাওয়া পূরণ হয়েছে। গত বছর প্রথমবারের মতো আয়োজন হয়েছিল জাতীয় ক্রিকেট লিগ টি-টোয়েন্টি (এনসিএল টি-টোয়েন্টি)। চলতি বছর মাঠে গড়াবে এনসিএল টি-টোয়েন্টির দ্বিতীয় আসর। বিসিবির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছিল তিনটি মাঠে হবে এবারের এনসিএল টি-টোয়েন্টি। এবার বিসিবির পক্ষ থেকে বিস্তারিত জানানো হলো সেসব নিয়ে।
আজ বৃহস্পতিবার (৭ আগস্ট) মিরপুরে গণমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে এনসিএল টি-টোয়েন্টি নিয়ে কথা বলেন বিসিবি পরিচালক আকরাম খান। সেখানে তিনি এনসিএলের তিন মাঠের চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশ করেন। বগুড়া, রাজশাহী ও সিলেটে গড়াবে টুর্নামেন্টের দ্বিতীয় আসর।
ভেন্যু হিসেবে সিলেটের নাম থাকলেও সিলেটে মাত্র তিনটি ম্যাচ দেই সেমিফাইনাল আর ফাইনাল। এ কথা জানিয়ে আকরাম বলেন, ‘গ্রুপ পর্বে প্রতিদিন দুটি করে ম্যাচ হবে। একটি হবে বগুড়াতে আরেকটি হবে রাজশাহীতে। এরপরে আমরা চলে আসব সিলেটে।’
গত বছর এনসিলের সবগুলো ম্যাচই হয়েছিল দিনের আলোতে। এবার কিছুটা ভিন্নতা আনতে চায় বোর্ড। সেমিফাইনাল ও ফাইনাল ম্যাচ হবে দিবা-রাত্রি ম্যাচ। বগুড়া ও রাজশাহীতে দিবা-রাত্রি ম্যাচ আয়োজনের সুযোগ না থাকায় এই ম্যাচগুলো হবে সিলেটে।
আকরাম খান বলেন, ‘আমরা দিবা-রাত্রি ম্যাচের চিন্তা করেছি। বগুড়া ও রাজশাহীতে তো রাতে খেলার অবস্থা নাই। আমরা সেমিফাইনাল এবং ফাইনাল সিলেটে করব লাইটে (দিবা-রাত্রি)।’
এনসিএল টি-টোয়েন্টির গত আসরে খেলোয়াড়দের ম্যাচ ফি ছিল ২৫ হাজার টাকা। এবার সেখানেও লাগছে উন্নতির ছোঁয়া। প্রায় দ্বিগুন বাড়ছে খেলোয়াড়দের ম্যাচ ফি। আকরাম বলেন, ‘আপনারা জানেন গত বছর ক্রিকেটারদের ম্যাচ ফি ছিল ২৫ হাজার টাকা। এবার সেটাকে ৪০ হাজার করা হয়েছে। সেই সঙ্গে আমার সব ফ্যাসিলিটিজ বাড়ানোর চেষ্টা করছি।’
কয়েকদিন আগেই বরিশালের কোচ ও দল নিয়ে নেতিবাচক শিরোনাম হয়েছে সংবাদমাধ্যমগুলোতে। এনসিএল টি-টোয়েন্টিতে সেসব যেন না হয় সে বিষয়ে বেশ সজাগ বিসিবি। যে কারণে আজ প্রতিটি বিভাগের ম্যানেজারদের নিয়ে বৈঠকে বসেছিল বিসিবি।
বিসিবি পরিচালক আকরাম বলেন, ‘আজকে আমি নির্বাচক এবং প্রত্যেকটা বিভাগের ম্যানেজারদের ডেকেছি। কারণ এর আগে বরিশাল নিয়ে কিছু নেগিটিভ কথা আসছে। আমরা আলোচনা করেছি এ ধরনের কোনো কিছু যেনে না আসে। একটা ভালো স্ট্যান্ডার্ড যেন থাকে।’