তামিমের কাউন্সিলরশিপ নিয়ে আপত্তি

বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে আগামী ৪ অক্টোবর। নির্বাচনের সময় যত ঘনিয়ে আসছে আলোচনা-সমালোচনা ততই বাড়ছে। বিসিবির সংশোধিত নির্বাচন তফসিলে খসড়া ভোটার তালিকা নিয়ে আপত্তি গ্রহণের দিন ছিল বুধবার (২৪ সেপ্টেম্বর)। সকাল ১০টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত নির্বাচন কমিশনে জমা পড়ে ৩০টি আপত্তি।
আপত্তিপত্রের মধ্যে সবচেয়ে আলোচনায় এসেছে তামিম ইকবালের কাউন্সিলরশিপ নিয়ে একটি আপত্তি। সেখানে দেখা গেছে ওল্ড ডিওএইচএস ক্লাবের হয়ে সাবেক ক্রিকেটার হালিম শাহ আপত্তি তুলেছেন তামিম ইকবালের কাউন্সিলরশিপ নিয়ে।
আপত্তিতে বলা হয়েছে, তামিম আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে অবসর নেননি, তাই বিসিবির গঠনতন্ত্র অনুযায়ী তিনি কাউন্সিলর হতে পারবেন না। আরও দাবি করা হয়েছে, তামিম ওল্ড ডিওএইচএস ক্লাবের সদস্য নন এবং তাকে ক্লাবের কাউন্সিলর করার কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি।
কিন্তু ক্লাবের সভাপতি খালেদ মাহমুদ জানিয়েছেন, তামিম শুধু সদস্যই নন, তিনি ক্লাবের যুগ্ম সম্পাদক এবং তাকে কাউন্সিলর করার চিঠিতে তিনি নিজেই সই করেছেন। তামিম নিজেও এ বছরের ১০ জানুয়ারি সামাজিক মাধ্যমে অবসরের ঘোষণা দেন।
কিন্তু শীর্ষস্থানীয় একটি সংবাদপত্র এই আপত্তিপত্র নিয়ে হালিমের সঙ্গে যোগযোগ করলে তিনি জানান, এই বিষয়ে তিনি জানেন না। এই চিঠি তিনি দেননি এবং কোনো স্বাক্ষর করেননি। এমনকি তিনি ৮-১০ দিন আগে ক্রিকেট বোর্ডে গেলেও বুধবার যাননি।
এদিকে, বিসিবির সাবেক সভাপতি ফারুক আহমেদের কাউন্সিলর ফরম সময়ের দুই ঘণ্টা পর জমা পড়ায় তার বিরুদ্ধেও বেশ কয়েকটি আপত্তি উঠেছে। মোহামেডান ও তেজগাঁও ক্রিকেট একাডেমির দুই কাউন্সিলরের পক্ষ থেকে ফরম বাতিলের আবেদন করা হয়েছে।
দুদকের পর্যবেক্ষণে তৃতীয় বিভাগ বাছাই থেকে আসা ১৮টি ক্লাবের বিরুদ্ধে তদন্তের সুপারিশ করা হয়েছে। এছাড়া নির্বাচন কমিশন এবার তৃতীয় বিভাগ বাছাইয়ে নেমে যাওয়া ১৫টি ক্লাবকে কাউন্সিলরশিপ না দেওয়ায় তারা এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধেও আপত্তি জমা দিয়েছে।
এমন একটি ক্লাব হচ্ছে ভাইকিংস ক্রিকেট একাডেমি। এই ক্লাব থেকে কাউন্সিলর হওয়ার কথা ছিল বিসিবির পরিচালক ও মিডিয়া কমিটির প্রধান ইফতেখার রহমানের। তিনি জানিয়েছেন, দুদক একটি অভিযোগ দিলেও তা এখনও প্রমাণিত হয়নি। তাহলে নির্বাচন কমিশন এসব ক্লাবকে বাদ দিলো কিভাবে?
নাখালপাড়া ক্রিকেটার্সের কাউন্সিলর হওয়ার কথা ছিল সাবেক পরিচালক লোকমান হোসেনের। অভিযোগ জমা দিতে গিয়ে কমিশনারদের না পেয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেন তিনি। এমনকি আপত্তি জমা নেওয়া ব্যক্তি সিআইডি থেকে আসছে বলে তাকে জনান।
এছাড়া সিলেটসহ কয়েকটি জেলা ক্রীড়া সংস্থাও তাদের তালিকাভুক্তির অনুরোধ জানিয়েছে নির্বাচন কমিশনের কাছে।
তবে নির্বাচন কমিশনের কেউ এখনও বিষয়টি নিয়ে মন্তব্য করেননি। আজ এসব আপত্তির শুনানি হওয়ার কথা রয়েছে।