বিসিবির দায়িত্ব নিয়েই ক্রিকেটকে ফিক্সিং মুক্ত করার ঘোষণা মার্শালের

দেশের ক্রিকেটে বর্তমানে সবচেয়ে বেশি আলোচিত ফিক্সিং ইস্যু। গত বিপিএল শেষে জোর আলোচনা শোনা গিয়েছিল ফিক্সিং নিয়ে। অনেকগুলো ঘটনাও সামনে এসেছিল। এরপর তিন সদস্যের একটি স্বাধীন তদন্ত কমিটি গঠন করেছিল বিসিবি। একটি প্রাথমিক রিপোর্ট তৈরি করেছে তদন্ত কমিটি। সেটা নিয়েই চলছে আলোচনা। এরই মাঝে দেশে এসে পৌঁছেছেন আইসিসির দুর্নীতি দমন বিভাগের সাবেক কর্মকর্তা অ্যালেক্স মার্শাল। বিসিবি নিয়োগ দিয়েছে তাকে।
আজ মঙ্গলবার (১৯ আগস্ট) আনুষ্ঠানিকভাবে দায়িত্ব নিয়েছেন অ্যালেক্স মার্শাল। দায়িত্ব নিয়েই জাতীয় দলের ক্রিকেটারদের সঙ্গে একটি সেশন করেছেন তিনি। এরপর মার্শাল জানান, বাংলাদেশ ক্রিকেট থেকে দুর্নীতি দূর করতে তিনি বদ্ধপরিকর।
আজ বিসিবি পরিচালক ও কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন মার্শাল। সেই বৈঠক শেষে সদ্য নিয়োগ পাওয়া বিসিবির দুর্নীতি দমন ইউনিটের এই পরামর্শক বলেন, ‘সবখানে এখন ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগ হচ্ছে, যেখানে সহজেই দুর্নীতিবাজরা সুযোগ পেয়ে যায়। বিপিএল জনপ্রিয় একটি লিগ। এখানে সবকিছু হতে হবে উঁচু মানের, পেশাদার ও সুরক্ষিত। বিশ্বের যেকোনো জায়গাতেই ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগ সুরক্ষিত হওয়া উচিত। বিপিএলেও এটা নিশ্চিত করার জন্য আমি কাজ করব।’
বাংলাদেশের ক্রিকেটকে ফিক্সিং মুক্ত রাখার কথা জানিয়ে আইসিসির সাবেক কর্মকর্তা মার্শাল বলেন, ‘এই শতকের শুরু থেকেই বাংলাদেশ ক্রিকেট বিশ্বের শীর্ষ পর্যায়ে উঠেছে। সমর্থকরা মাঠে যে খেলাটা দেখেন তা প্রবলভাবে বিশ্বাস করেন। যে ক্রিকেটাররা দেশের হয়ে খেলেন, তারা এই খেলাটাকে কলুষতামুক্ত রাখেন। তবুও নিরাপত্তা জোরদার করার জায়গা আছে, কারণ সবসময় এখানে কলুষতার সম্ভাবনা থাকে। পুরো বিশ্বেই তারা (জুয়ারিরা) সুযোগ খুঁজে বেড়ায়। তারা চেষ্টা করে খেলোয়াড়দের হাত করতে, যাতে তারা ভালো না খেলে।’
বিসিবিতে নিজের কাজ নিয়ে মার্শাল বলেন, ‘আজ আমার প্রথম দিন। খুব গুরুত্ব সহকারে আমাদের সভা হয়েছে, যেখানে সবার সমর্থন পেয়েছি। সমর্থকরা যেন সঠিক ক্রিকেট দেখতে পারেন এবং খেলোয়াড়রা যেন সুরক্ষিত থাকে সেদিকেই আমার মনোযোগ। ইতোমধ্যে কাজ শুরু হয়ে গেছে। আমি বোর্ড ও প্রেসিডেন্টের (আমিনুল ইসলাম বুলবুল) সঙ্গে কাজ করছি। তিন থেকে চার সপ্তাহের মধ্যে নতুন করে সব সাজিয়ে আমি বোর্ডকে দেখাব। তবে দীর্ঘস্থায়ী শিক্ষা ও সুরক্ষা প্রয়োজন।’
সেই সবাইকে প্রয়োজনীয় সেই বিষয়গুলো শেখাবেন মার্শাল। তিনি বলেন, ‘আমি নিশ্চিত করতে চাই, বাংলাদেশের হয়ে যে ক্রিকেটাররা খেলেন, তারা যেন সুরক্ষিত থাকেন। প্রেসিডেন্ট, সিইও ও বোর্ড মেম্বারদের (পরিচালক) সঙ্গে আমি কথা বলেছি। তারা আমাকে অকুণ্ঠ সমর্থন জানিয়েছেন। আমরা ইনটেগ্রিটি ইউনিটকে নতুন করে সাজাব। আমাদের লক্ষ্য হলো সবাইকে (দুর্নীতি প্রতিরোধের বিষয়ে) শিক্ষিত করে তোলা এবং তারা যাতে বুঝে কী করতে হবে। তারা যেন সচেতন হয়ে ওঠে এবং দুর্নীতিবাজরা সুযোগ করতে না পারে।’