বেঙ্গালুরুতে নতুন যে ভূমিকায় ফেরার ইঙ্গিত দিলেন ভিলিয়ার্স

এবি ডি ভিলিয়ার্স ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগে (আইপিএল) দীর্ঘদিন খেলেছেন রয়েল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুর (আরসিবি) হয়ে। ব্যাট হাতে মাঠ মাতানোর পর আবারও বেঙ্গুলুরুতে ফেরার আগ্রহ প্রকাশে করেছেন দক্ষিণ আফ্রিকার এই কিংবদন্তি ব্যাটার। তবে বেঙ্গালুরুর ঘরের ছেলে বনে যাওয়া ভিলিয়ার্স এবার খেলোয়াড় হিসেবে আসছেন না। কোচ বা মেন্টরের ভূমিকায় আসতে পারেন বলেই জানিয়েছেন তিনি।
সম্প্রতি ভারতীয় সংবাদ সংস্থা আইএএনএসকে ভিলিয়ার্স বলেন, ‘আমি ভবিষ্যতে আইপিএলে অন্য কোনো ভূমিকায় যুক্ত হতে পারি। তবে পুরো মৌসুমের জন্য পেশাদার হিসেবে যুক্ত হওয়া এখন আর সম্ভব নয়। আমি মনে করি সেই দিনগুলো শেষ। তবে কখনও না এটা বলাও ঠিক নয়। আমার হৃদয় সবসময় আরসিবির সঙ্গে থাকবে। তাই যদি কখনও সময় আর সুযোগ মেলে, আর দল মনে করে আমার প্রয়োজন আছে (কোচ বা মেন্টর হিসেবে), তাহলে সেটা অবশ্যই আরসিবির হয়েই হবে।’
২০২১ সালে সব ধরনের ক্রিকেট থেকে অবসর নেন ভিলিয়ার্স। তবে এখনও কোচিংয়ের সঙ্গে নিজের নাম যুক্ত করেননি তিনি। আইপিএলে তাকে দেখা গেছে ধারাভাষ্য দিতে। সর্বশেষ আইপিএল ফাইনালে আরসিবির প্রথম শিরোপা জয়ের দিনও মাঠে উপস্থিত ছিলেন ক্লাবটির কিংবদন্তি এই ব্যাটার।
ডি ভিলিয়ার্স ২০১১ সাল থেকে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুর হয়ে খেলেছেন। এর আগে তিনি দিল্লি ডেয়ারডেভিলসের হয়েও খেলেন। আইপিএলে ১৮৪ ম্যাচে ১৫১.৬৮ স্ট্রাইক রেটে করেছেন ৫ হাজার ১৬২ রান।
আরসিবির হয়ে ১৫৭ ম্যাচে ব্যাট হাতে ৪১.১০ গড় এবং ১৫৮.৩৩ স্ট্রাইক রেটে করেন ৪ হাজার ৫২২ রান। দলটির হয়ে ২টি সেঞ্চুরি ও ৩৭টি হাফ সেঞ্চুরিও করেছেন এই দক্ষিণ আফ্রিকান কিংবদন্তি ব্যাটার।
২০১৬ আইপিএলে গুজরাট লায়ন্সের বিপক্ষে বিরাট কোহলির সঙ্গে ২২৯ রানের জুটি গড়েন ভিলিয়ার্স। যেটি এখনও আইপিএলের সর্বোচ্চ রানের জুটির রেকর্ড। সে বছর তিনি ৬৮৭ রান করে সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহকের তালিকায়ও তৃতীয়স্থানে ছিলেন। ২০২২ সালে আরসিবি তাকে এবং ক্রিস গেইলকে তাদের হল অব ফেমে অন্তর্ভুক্ত করে।