নেদারল্যান্ডসকে বাংলাওয়াশের লক্ষ্যে বুধবার মাঠে নামছে বাংলাদেশ

র্যাংকিং, শক্তি-সামর্থ কিংবা অতীত পরিসংখ্যান—নেদারল্যান্ডসের চেয়ে যোজন যোজন এগিয়ে বাংলাদেশ। মাঠের বাইরের সেই আধিপত্য মাঠেও দেখিয়েছে টাইগাররা। প্রথম দুই ম্যাচেই ডাচদের লড়াইটা পর্যন্ত করতে দেয়নি লিটন দাসের দল। ব্যাটিং-বোলিং দুই বিভাগেই ছড়ি ঘুরিয়েছে বাংলাদেশ। দুই জয়ে ইতোমধ্যে সিরিজ নিশ্চিত করেছে লাল-সবুজের জার্সিধারীরা। তৃতীয় ম্যাচে জয় তুলে নিয়ে বাংলাওয়াশের লক্ষ্য লিটনের দলের সামনে। সেই লক্ষ্যে আগামীকাল মাঠে নামবে বাংলাদেশ। সিলেটে সিরিজের তৃতীয় ও শেষ টি-টোয়েন্টি ম্যাচটি শুরু হবে সন্ধ্যা ৬টায়।
অতীতে টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে এর আগে একবারই দ্বিপাক্ষীয় সিরিজে নেদারল্যান্ডসের মুখোমুখি হয়েছিল বাংলাদেশ। ২০১২ সালে নেদারল্যান্ডসের মাটিতে দুই ম্যাচের সিরিজ ১-১ সমতায় শেষ করেছিল বাংলাদেশ। দ্বিতীয় দেখায় ইতোমধ্যে সিরিজ নিশ্চিত করেছে বাংলাদেশ।
চলতি মাসের সেপ্টেম্বরে মাঠে গড়াবে মহাদেশীয় লড়াই এশিয়া কাপ। সেই টুর্নামেন্টের প্রস্তুতি হিসেবে ডাচদের সঙ্গে এই সিরিজ খেলছে বাংলাদেশ। প্রথম দুই ম্যাচে দাপুটে বোলিংয়ে প্রস্তুতিটা বেশ ভালো হয়েছে তাসকিন-মুস্তাফিজ-নাসুমদের। দুর্দান্ত বোলিংয়ে নেদারল্যান্ডসের ব্যাটারদের জন্য দুঃস্বপ্ন হয়ে এসেছিলেন তারা। ডাচরা প্রথম ম্যাচে ২০ ওভার টিকতে পারলেও দ্বিতীয় ম্যাচে গুটিয়ে গেছে ১৩ ওভারেই। বাংলাদেশের বোলাররা আটকে রেখেছেন ১০০ রানের আশেপাশে।
এরপর ব্যাটাররাও নিজেদের দায়িত্ব পালন করেছেন ঠিকঠাক। ব্যর্থতার বৃত্ত থেকে বের হয়ে এসে রানে ফিরেছেন তারা। প্রথম ম্যাচে জিতেছে আট উইকেটে, দ্বিতীয় ম্যাচে ৯ উইকেটে। দুটি ম্যাচই শেষ করেছে ১৪ ওভারের মধ্যে। পারভেজ হোসেন ইমন-তানজিদ হাসান তামিমের জুটি আস্থার জায়গা হয়ে দাঁড়িয়েছে ক্রিকেট প্রেমীদের কাছে।
এশিয়া কাপের আগে সিরিজ জয় নিশ্চিতভাবে মানষিকভাবে এগিয়ে রাখবে বাংলাদেশকে। শেষ ম্যাচে জিতে সেটাকে আরও বাড়িয়ে নিতে চাইবে টাইগাররা। যেনো জয়ের ধারায় থেকে এশিয়া কাপের মিশনে নামতে পারে। দ্বিতীয় ম্যাচ শেষে সংবাদ সম্মেলনে এসে ওপেনার তানজিদ তামিমও সে কথাই বলেছিলেন।
তবে সিরিজ জয়ের আনন্দের মাঝেও প্রশ্ন উঠছে ব্যতিক্রম কিছু করতে পারতো কিনা বাংলাদেশ। প্রথম দুই ম্যাচেই টসে জিতে ফিল্ডিং করেছে বাংলাদেশ। বোলাররা নেদারল্যান্ডসকে অল্পরানেই গুটিয়ে দেওয়ায়, লম্বা সময় ব্যাট করতে পারেননি ব্যাটাররা। ফলে টপঅর্ডার বাদে বাকিদের সেভাবে পরীক্ষা দিতে হয়নি। তৃতীয় ম্যাচে হয়তো ভিন্ন পথে হাটতে পারে বাংলাদেশ। টসে জিতলে ব্যাটারদের সুযোগ করে দেওয়া হতে পারে, আগে ব্যাট করার।
এশিয়া কাপের আগে বেঞ্চ বাজিয়ে দেখে সঠিক কম্বিনেশন খুঁজে বের করার মঞ্চ কোচ ফিল সিমন্সের সামনে। দ্বিতীয় ম্যাচেও তেমনটা দেখা গিয়েছিল। সুযোগ দেওয়া হয়েছিল নাসুম আহমেদ ও তানজিম হাসান সাকিবকে। তাই শেষ ম্যাচে একাদশে বড় কোনো পরিবর্তন দেখলে অবাক হওয়ার কিছু থাকবে না। সুযোগ করে দেওয়া হতে পারে মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন, নুরুল হাসান সোহান, শামীম পাটোয়ারীদের।