ইংল্যান্ড ফুটবল দলের প্রথম মুসলিম খেলোয়াড় হতে যাচ্ছেন স্পেন্স

টটেনহ্যাম হটস্পারের ফুলব্যাক জেড স্পেন্স ডাক পেয়েছেন টমাস টুখেলের বিশ্বকাপ বাছাইয়ের দলে। এর মাধ্যমে নতুন এক ইতিহাস গড়লেন তিনি। ইংল্যান্ড জাতীয় দলের হয়ে খেলতে যাওয়া ‘প্রথম প্রকাশ্য’ মুসলিম খেলোয়াড় এখন তিনি। এমন ঘটনার পর স্পেন্স নিজেকে নিয়ে গর্বিত এবং বেশ অভিভূত হয়েছেন। স্পেন্স আশা করেন ইংল্যান্ড জাতীয় দলের হয়ে খেলা প্রথম মুসলিম খেলোয়াড় হলে তিনি ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য অনুপ্রেরণার প্রতীক হয়ে উঠবেন।
স্পেন্স ইংল্যান্ড অনূর্ধ্ব-২১ দলের হয়ে ৬টি ম্যাচ খেলেছেন, এবার প্রথমবারের মতো জাতীয় দলে ডাক পেয়েছেন। বিশ্বকাপ বাছাইপর্বে সেপ্টেম্বরে আন্দোরা ও সার্বিয়ার বিপক্ষে দুটি ম্যাচ মুখোমুখি হতে যাচ্ছে ইংল্যান্ড। সেখানেই টুখেলের দলে অভিষেক হয়ে যেতে পারে তার।
মিডলসব্রোতে ক্যারিয়ার শুরু করা স্পেন্সের জন্য এটি এক দারুণ প্রত্যাবর্তন। টটেনহ্যামে যোগ দেওয়ার পর তাকে ধারাবাহিকভাবে তিনটি ক্লাবে (রেনে, লিডস ও জিনোয়া) ধারে পাঠানো হয়। তবে গত মৌসুমে তিনি টটেনহামের মূল দলে নিজের জায়গা করে নেন।
ইংল্যান্ড ফুটবল অ্যাসোসিয়েশন খেলোয়াড়দের ধর্মীয় পরিচয়ের রেকর্ড রাখে না। কিন্তু ধারণা করা হচ্ছে, স্পেন্স হতে পারেন ইংল্যান্ডের পুরুষ জাতীয় দলের ‘প্রথম প্রকাশ্য’ মুসলিম খেলোয়াড়।
এমন সম্ভাবনা নিয়ে নিজের অনুভূতি প্রকাশ করতে গিয়ে স্পেন্স বলেন, ‘এটা এক আশীর্বাদ, এক কথায় অসাধারণ। আমার আসলে বলার মতো ভাষা নেই।’
ধর্মীয় বিশ্বাস যে তার জীবনের বড় অংশ, সেটিও খুব সাবলীলভাবেই জানান এই তরুণ ফুটবলার। স্পেন্স বলেন, ‘আমি অনেক প্রার্থনা করি, সবসময় আল্লাহর প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করি। জীবনের সবচেয়ে কঠিন সময়ে, অন্ধকার মুহূর্তগুলোতে, আমি সবসময় বিশ্বাস করেছি—আল্লাহ আমার পাশে আছেন। আমার বিশ্বাস, আমার জন্য অনেক বড় ব্যাপার।’
প্রথম মুসলিম খেলোয়াড় হওয়ার বিষয়টি তার ওপর কোনো বাড়তি চাপ তৈরি করছে কি না—জানতে চাইলে স্পেন্স বলেন, ‘আমি আসলে এমন কিছুতে খুব একটা চাপ অনুভব করি না। আমি হাসিমুখে ফুটবল খেলি, আনন্দের সঙ্গে খেলি, আর বাকি সবকিছু আপনাআপনি ঠিক হয়ে যায়।’
তার যাত্রা অন্যদের জন্য অনুপ্রেরণা হয়ে উঠুক, এমনটাই তার চাওয়া। বিষয়টি নিয়ে স্পেন্স বলেন, ‘আমি যদি পারি, তাহলে তুমিও পারো। শুধু মুসলিম বাচ্চাদের জন্য না, যেকোনো ধর্ম বা বিশ্বাসের শিশুর জন্য—তুমি যদি মন থেকে কিছু চাও, তাহলে তুমি সেটা অর্জন করতেই পারো।’
বিশ্বকাপ বাছাইয়ের দুটি ম্যাচে শনিবার (৬ সেপ্টেম্বর) ভিলা পার্কে আন্দোরার বিপক্ষে খেলবে ইংল্যান্ড। এরপর মঙ্গলবার (৯ সেপ্টম্বর) দিনগত রাতে বেলগ্রেডে মুখোমুখি হবে সার্বিয়ার বিপক্ষে।