পূর্ণবয়স্ক হবার পর আমরা বুঝতে পারি ভ্রমণ কতটা গুরুত্বপূর্ণ। ভ্রমণ মানুষের জীবন ও মন পরিবর্তনে ভূমিকা রাখে। কিন্তু প্রশ্ন হলো কোন বয়স থেকে ভ্রমণ করা উচিত। নাকি ভ্রমণে যেতে প্রাপ্ত বয়স্ক হওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে?

এক গবেষণায় দেখা গেছে ছোটকাল থেকেই শিশুদের ভ্রমণ করা উত্তম। কেননা এসময় তাদের শিক্ষা গ্রহণের সময় ও সব কিছু গ্রহণের মানসিকতা তাদের ভেতর থাকে। আর এসময় তাদের মস্তিষ্কেও অনেক গ্রহণক্ষমতা থাকে। তাই ছোটবেলা থেকেই ভ্রমণ শিশুর জ্ঞান বৃদ্ধিতে সহায়ক।

শিক্ষা কখনও চার দেয়ালের অন্তরালে হয় না। শিশুদের নিয়ে ভ্রমণ সহজ কোন বিষয় নয়। কিন্তু তবুও শিশুদের নিয়ে ভ্রমণ করা জরুরি কারণ, প্রত্যেক মা-বাবার দায়িত্ব শিশুদের জ্ঞান বৃদ্ধির জন্য প্রয়োজনীয় সকল কাজ করা। আর ভ্রমণ জ্ঞান বৃদ্ধির জন্য এমনই এক প্রাকৃতিক মাধ্যম। শিশুদের নিয়ে ভ্রমণের কারণগুলো বোল্ডস্কাইয়ে প্রকাশিত লাইফস্টাইলে বলা হয়েছে।

১. উদরতা ও মানিয়ে নেয়ার ক্ষমতা বৃদ্ধি

নতুন মানুষ এবং জায়গায় ভ্রমণের কারণে আপনার শিশুর মন আরও উদার হবে। ফলে বিভিন্ন পরিস্থির সঙ্গে মানিয়ে নেয়ার ক্ষমতা বৃদ্ধি করবে। শুধু তাই নয়, সকলে সম্মান করা, অন্যের সিদ্ধান্তকে গ্রহণ করার মত মানসিকতাও তৈরী হবে।

২. পারিবারিক বন্ধন দৃঢ় হয়

স্বপরিবারে ভ্রমণে গেলে পরিবারের সকলেই একসঙ্গে দীর্ঘ সময় কাটানোর সুযোগ সৃষ্টি হয়। ফলে দৃঢ় হয় পারিবারিক বন্ধন।

৩. মানসিকভাবে বিকশিত হতে

বর্তমানে শিশুরা কম্পিউটার, ল্যাপটপ, মোবাইলসহ বিভিন্ন টেকনোলজি নির্ভর হয়ে পড়েছে। তাই একটি ভ্রমণ হতে পারে ভাসমান দুনিয়া থেকে বের করে আসল পৃথিবীর সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দেয়া।

৪. নতুন অভিজ্ঞতা অর্জন

ভ্রমণ শিশুদের নতুন স্থান, ভাষা, মানুষ ও তাদের সংস্কৃতির সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দেয়, যা শিশুর অভিজ্ঞতা ভান্ডারকে সমৃদ্ধ করে।

৫. পরিশ্রমের গুরুত্ব সম্পর্কে জানা

ভ্রমণ কখনো ফ্রিতে হয় না। এজন্য প্রয়োজন মোটা অংকের অর্থ। আপনার সন্তান যখন দেখবে ভ্রমণে অনেক খরচ হয় তখন সে কাজের প্রতি আরও সচেতন হবে এবং ভবিষতে কঠোর পরিশ্রমী হবে।

৬. সমবেদনা তৈরী

শখ ও বিলাসবহুল জীবন যাপন করার মানে ভ্রমণ নয়। সমাজে কোনটি গ্রহনযোগ্য ও কোনটি বর্জনীয় তা জানা যায় ভ্রমণের মাধ্যমে। নতুন মানুষ ও পরিবেশে বিরাজ করে সমবেদনার আসল মানে উপলব্ধি করে জীবনযাপন করতে শেখা যায় ভ্রমণের মাধ্যমে।