কাশ্মীরের বিচ্ছিন্নতাবাদী নেতা ইয়াসিন মালিকের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড

সন্ত্রাসবাদে অর্থায়নের দায়ে জম্মু ও কাশ্মীরের বিচ্ছিন্নতাবাদী নেতা ইয়াসিন মালিককে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছে ভারতের একটি আদালত। সংবাদমাধ্যম বিবিসির প্রতিবেদনে আজ বুধবার এ তথ্য জানানো হয়।
সন্ত্রাসবাদে অর্থায়নের পাশাপাশি ৫৬ বছর বয়সি নেতা ইয়াসিন মালিকের অপরাধমূলক ষড়যন্ত্রে জড়িত থাকারও প্রমাণ পাওয়ার কথা জানিয়েছে ভারতের রাজধানী দিল্লির একটি আদালত।
ভারত শাসিত মুসলিম অধ্যুষিত জম্মু ও কাশ্মীরে ১৯৮৯ সালের পর দানা বাধা বিচ্ছিন্নতাবাদী সশস্ত্র আন্দোলনে বহু মানুষের প্রাণহানি ঘটেছে।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি জানায়, দুটি মামলায় যাবজ্জীবন আর পাঁচটি মামলায় ১০ বছর করে কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে ইয়াসিন মালিককে।
ইয়াসিন মালিকের স্ত্রী মুশাল হুসেইন টুইটারে বলেছেন, ‘ভারতের ক্যাঙ্গারু কোর্টে কয়েক মিনিটে এই রায় দেওয়া হয়েছে। ইয়াসিন মালিক কখনোই নতি স্বীকার করবেন না।’
রায়ের পর ভারত শাসিত জম্মু ও কাশ্মীরের রাজধানী শ্রীনগরের দোকানপাট ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান বেশিরভাগই বন্ধ হয়ে গেছে। ইয়াসিন মালিকের বাড়ির এলাকায় বিক্ষোভ প্রতিবাদকারীরা পুলিশকে লক্ষ্য করে পাথর ছুড়েছে। পুলিশও লোকজনের ওপর কাঁদানে গ্যাস ছুড়েছে বলে জানা গেছে।
ভারতের সন্ত্রাসমূলক অপরাধ দমনকারী সংস্থা ন্যাশনাল ইনভেস্টিগেটিং এজেন্সি (এনআইএ) স্বাধীনতাকামী জম্মু ও কাশ্মীর লিবারেশন ফ্রন্টের (জেকেএলএফ) নেতা ইয়াসিন মালিকের মৃত্যুদণ্ডের আবেদন জানিয়েছিল। অন্যদিকে, ভারতের প্রতিরক্ষা বিভাগ যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের আবেদন করেছিল।
২০১৯ সালে জেকেএলএফ নিষিদ্ধ ঘোষণার কিছুদিন পরই ইয়াসিন মালিককে গ্রেপ্তার করা হয়।
প্রতিবেশি দেশ পাকিস্তান ও ভারত উভয়ের কাছ থেকেই স্বাধীনতা লাভের উদ্দেশ্য নিয়ে ১৯৭৭ সালে আমানুল্লাহ খান জেকেএলএফ প্রতিষ্ঠা করেন। আমানুল্লাহ খান ও ইয়াসিন মালিক দুজনে মিলে দলটিকে সংগঠিত করেন।