কোভিড ও টিকা নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য নীতিনির্ধারকদের জানায়নি ফেসবুক : দ্য ওয়াশিংটন পোস্ট

নভেল করোনাভাইরাস নিয়ে বিভ্রান্তিকর চিকিৎসা-তথ্য কীভাবে ফেসবুকে ছড়িয়েছে, তা সতর্কতার সঙ্গে ট্র্যাক করেছে বিশ্বের অন্যতম শীর্ষ প্রযুক্তি জায়ান্ট প্রতিষ্ঠানটি। কিন্তু, অভিযোগ উঠেছে—বারবার চাওয়ার পরও এসব তথ্য নীতিনির্ধারকদের জানানো হয়নি। দ্য ওয়াশিংটন পোস্ট এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে।
দ্য ওয়াশিংটন পোস্ট বলছে—করোনাভাইরাস এবং এর টিকা নিয়ে ভুল তথ্য কীভাবে ফেসবুকের মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে এবং কোন ধরনের ব্যবহারকারী মারাত্মক এ ভাইরাস সম্পর্কে মিথ্যা তথ্য শেয়ার করার আশঙ্কা বেশি, তা নিয়ে অভ্যন্তরীণ একটি প্রতিবেদন তৈরি করেছে ফেসবুকের গবেষক দল। ফেসবুকের ‘হুইসেলব্লোয়ার’ সাবেক কর্মী ফ্রান্সিস হাওগেনের প্রকাশিত নথি থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
দ্য ওয়াশিংটন পোস্ট জানায়, করোনার মহামারি চলাকালে শিক্ষাবিদ, আইনপ্রণেতা, এমনকি হোয়াইট হাউসও ফেসবুককে বারবার ভুল তথ্য এবং ফেসবুক ব্যবহারকারীদের আচরণের ওপর এসব তথ্যের প্রভাব সম্পর্কে আরও স্বচ্ছ হওয়ার আহ্বান জানিয়েছিল। কিন্তু, ফেসবুক কর্তৃপক্ষ এসব তথ্যের বেশির ভাগ অংশ জনসমক্ষে তুলে ধরতে অস্বীকার করে। যার ফলে বাইডেন প্রশাসনের সঙ্গে প্রতিষ্ঠানটির মুখোমুখি অবস্থান তৈরি হয়।
অভ্যন্তরীণভাবে, ফেসবুক কর্মীরা দেখিয়েছেন—করোনাভাইরাস সম্পর্কে ভুল তথ্য সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মটির কিছু অংশে ছড়িয়ে পড়ে ‘ইকো-চেম্বারের’ মতো প্রভাব তৈরি করছে এবং টিকা-সংক্রান্ত দ্বিধাকে শক্তিশালী করছে।
এ ছাড়া অন্যান্য গবেষকরা দেখিয়েছেন—কীভাবে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থাসহ স্বাস্থ্য-সংক্রান্ত বিভিন্ন কর্তৃপক্ষের পোস্টগুলো প্রায়ই টিকাবিরোধী মন্তব্যকারীদের ভিড়ে চাপা পড়ে যায় এবং এসব পোস্টকে মিথ্যার সঙ্গে মিশিয়ে দেয়।
কংগ্রেস এবং ডেমোক্র্যাটিক দলের সদস্য আন্না জি ইসু গত মঙ্গলবার দ্য ওয়াশিংটন পোস্টকে ইমেইলে বলেন, ‘কয়েক মাস ধরে আমি বারবার ফেসবুকের কাছ থেকে কোভিড নিয়ে ভুল তথ্য সম্পর্কে তথ্য দেওয়ার অনুরোধ করেছি, যার মধ্যে রয়েছে—কোন ব্যবহারকারীরা এসব পোস্ট করেছেন, কীভাবে প্ল্যাটফর্মটির মাধ্যমে এসব পোস্ট বড় পরিসরে ছড়িয়ে পড়ে, কীভাবে ফেসবুক সিদ্ধান্ত নেয় কী অপসারণ করবে এবং আরও অনেক কিছু।’
আন্না জি. ইসু বলেন, ‘আমি এ প্রশ্নগুলো জিজ্ঞাসা করেছি কারণ—নীতিনির্ধারকদের বুঝতে হবে, কীভাবে কোভিডের ভুল তথ্য ছড়িয়ে পড়ে এবং কীভাবে আমরা টিকা সম্পর্কে দ্বিধা ও জনস্বাস্থ্যের ওপর এর ক্ষতিকর প্রভাবগুলো কমিয়ে আনতে পারি।’
এদিকে, ইমেল করা এক বিবৃতিতে ফেসবু

কের মুখপাত্র অ্যারন সিম্পসন বলেছেন, সংস্থাটি মহামারিকালে করোনাভাইরাস সম্পর্কে নির্ভরযোগ্য তথ্য প্রচারের জন্য কাজ করেছে। এবং মার্কিন ফেসবুক ব্যবহারকারীদের মধ্যে টিকা নিয়ে দ্বিধার শতকরা হার গত জানুয়ারি থেকে ৫০ শতাংশ কমে গেছে।