ভাঙল সেই বাঘ-ছাগলের বন্ধুত্ব

ভেঙে গেল রাশিয়ার মস্কোর একটি সাফারি পার্কের সেই বাঘ আর ছাগলের বন্ধুত্ব। যে ছাগলটি কোনো এক রাতে বাঘটির খাবার হয়ে এসেছিল। কিন্তু প্রচণ্ড ক্ষুধা থাকার পরও বাঘটি ছাগলটিকে খায়নি। উল্টো তাদের মধ্যে গড়ে উঠেছিল গভীর বন্ধুত্ব।
ছোট্ট একটি লড়াইয়ের মধ্য দিয়ে তাদের বন্ধুত্বে ছেদ ঘটেছে। তবে বাঘ তার বন্ধু ছাগলটিকে হত্যা করেনি।
এনডিটিভির এক খবরে জানা যায়, গত সপ্তাহে নিজেদের মধ্যে এক লড়াইয়ের পর সাইবেরিয়ান বাঘ আমুর আর ছাগল তিমুরকে আলাদা করে দেয় সাফারিপার্ক কর্তৃপক্ষ। আর তাদের সেই শেষ লড়াইয়ের ভিডিওটিও ব্যাপক সাড়া ফেলেছে ইন্টারনেটে।
ইউটিউবের একটি ভিডিওতে দেখা যায়, একটি গাছের নিচে বিশ্রাম নিচ্ছিল আমুর আর তিমুর। এ সময় তারা খুনসুটিতে মেতে ছিল। খুনসুটির এক পর্যায়ে তাদের মধ্যে ঝগড়া বেধে যায়।
আমুর আর তিমুরের ঝগড়ার বিষয়ে সাফারি পার্কটির সাধারণ পরিচালক দিমিত্রি মেজেনস্তেভ বলেন, ‘তিমুর তার সব সীমা অতিক্রম করে গেছে। সে আমুরকে তার ক্ষুর দিয়ে, শিং দিয়ে আঘাত করেছে। তিমুর তার শিং দিয়ে আমুরের শরীরে আঘাত করেছে এবং পা দিয়ে লাথি দিয়েছে।’
‘এরপরই আমুর (বাঘ) তিমুরের ঘাড় কামড়ে ধরে এবং তাকে একটা বিড়ালের বাচ্চার মতো ছুড়ে ফেলে দেয়। সে কিন্তু তাকে আক্রমণ করেনি, মনে হলো সে যেন সামন্য একটা শিক্ষা দিতে চেয়েছিল তিমুরকে।’
পরে চিড়িয়াখানা কর্তৃপক্ষ আমুরকে কতগুলো জীবন্ত খরগোস এনে দেয়, যা সে মেরে ফেলে এবং খেয়ে ফেলে।
দুটি অসম প্রাণীর এই বন্ধুত্ব গত নভেম্বর থেকেই পশুপ্রেমীদের আকৃষ্ট করে রেখেছিল। বিশেষ করে যে ছাগলটি বাঘের খাদ্য হিসেবে তার সীমানার মধ্যে এসেছিল। এর পরিবর্তে বাঘটি তার সঙ্গে বন্ধুত্ব পেতে বসেছে, একই সঙ্গে খেলেছে ও ঘুরে বেড়িয়েছে। কিন্তু চিড়িয়াখানা কর্তৃপক্ষ আগে থেকেই সতর্ক ছিল এ বন্ধুত্বের পরিবর্তন হতে পারে এবং সহজাত প্রবৃত্তি জেগে উঠতে পারে এই ভাবনায়।