সৌদিতে চলতি বছর ৯০ জনের শিরশ্ছেদ

সৌদি আরবে চলতি বছর এ পর্যন্ত ৯০ জনকে শিরশ্ছেদ করা হয়েছে। মানবাধিকার সংস্থাগুলোর আশঙ্কা, এভাবে চলতে থাকলে গত বছরের চেয়ে চলতি বছর শিরশ্ছেদের সংখ্যা দ্বিগুণ হতে পারে। আজ মঙ্গলবার এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দি ইনডিপেনডেন্ট।
মধ্যপ্রাচ্যের এ দেশটিতে প্রতিবছরই শিরশ্ছেদের মাত্রা বেড়ে চলেছে। ২০১৪ সালে শিরশ্ছেদের এ সংখ্যা ছিল ৮৮ জন। ২০১৫ সালে তা বেড়ে দাঁড়ায় ১৫৮ জনে। মানবাধিকার সংগঠনগুলোর আশঙ্কা, ২০১৬ সালের প্রথম তিন মাসে যে পরিমাণ শিরশ্ছেদের ঘটনা ঘটেছে, তা বছর শেষে ৩২০ জনের বেশি হতে পারে। সৌদি সরকারের বিবৃতি এবং স্থানীয় নির্ভরযোগ্য গণমাধ্যমের প্রতিবেদনের ওপর ভিত্তি করে শিরশ্ছেদকৃত মানুষের এ তালিকা তৈরি করেছে যুক্তরাজ্যভিত্তিক বেসরকারি সংস্থা রিপ্রিভ।
বার্তা সংস্থা রয়টার্সের খবর অনুযায়ী, গত ২ জানুয়ারি সৌদি সরকারের বিরোধিতার কারণে ৪৭ শিয়া মুসলমানকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়। শিরশ্ছেদকৃতদের মধ্যে প্রখ্যাত শিয়া নেতা শেখ নিমরও রয়েছেন। ওই ঘটনা তখন নানা আলোচনা-সমালোচনার জন্ম দেয়। নিমর ছিলেন শান্তিপূর্ণ সংস্কারের একজন অব্যাহত প্রবক্তা। তিনি সৌদি কর্তৃপক্ষের কাছে আহ্বান জানিয়েছিলেন অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের। তিনি অবশ্য সমালোচক ছিলেন সৌদি শাসকশ্রেণির। কিন্তু কোনো সন্ত্রাসী কাজে জড়িত থাকার কোনো রেকর্ড তাঁর ছিল না।
প্রতিবেদনে আরো বলা হয়, এখন পর্যন্ত বিশ্বের ১৪০টি দেশ তাঁদের আইন ও অনুশীলনে মৃত্যুদণ্ড বাতিল করেছে। অন্যদিকে সৌদি আরবে মৃত্যুদণ্ডে দণ্ডিত লোকের সংখ্যা ক্রমাগতভাবে বেড়েছে।
এদিকে, আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থাগুলো সৌদি আরবে মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনার বিষয়ে বহুবার সতর্ক করে দিয়েছে। তারা অভিযোগ করেছে, যাদের মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়েছে, তাদের অর্ধেকই কোনো ধরনের সহিংস কর্মকাণ্ডে জড়িত ছিলেন না।