গাজায় ইসরায়েলি হামলায় নিহত ৭০, অপুষ্টিতে ভুগছে শিশুরা

গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলি বাহিনীর অব্যাহত হামলায় মানবিক বিপর্যয় আরও গভীর হচ্ছে। হাসপাতাল সূত্র জানিয়েছে, রোববার (২৭ এপ্রিল) ইসরায়েলি হামলায় অন্তত ৫৩ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন।
একই সূত্র মতে, সোমবার মধ্যরাত থেকে চালানো পৃথক হামলায় আরও ১৭ জনের প্রাণহানি ঘটেছে। খবর আল জাজিরার।
অন্যদিকে, গাজার চিকিৎসকরা শিশুদের ভয়াবহ খাদ্য সংকট নিয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। তারা বলছেন, খাদ্যতালিকায় প্রয়োজনীয় পুষ্টি, প্রোটিন ও ভিটামিনের অভাবে শিশুদের স্বাস্থ্য দীর্ঘমেয়াদি ক্ষতির সম্মুখীন।
খান ইউনিসের নাসের হাসপাতালের থেরাপিউটিক ফিডিং বিভাগের প্রধান ড. আয়মান আবু তেইর অ্যাসোসিয়েটেড প্রেসকে জানান, গাজায় অপুষ্টিতে আক্রান্ত শিশুর সংখ্যা উদ্বেগজনকভাবে বেড়ে চলেছে। শিশুদের জন্য প্রয়োজনীয় বিশেষায়িত দুধের সরবরাহও শেষ হয়ে গেছে।
ড. আবু তেইর আরও বলেন, ‘শিশুদের সঠিক শারীরিক ও মানসিক বিকাশের জন্য সুষম খাদ্য অপরিহার্য। মাংস, ডিম, মাছ, দুগ্ধজাত খাবার তাদের শরীরের গঠন এবং ফল ও সবজি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধিতে সহায়ক। কিন্তু দুর্ভাগ্যজনকভাবে গাজায় এসব খাদ্যের পর্যাপ্ত সরবরাহ নেই।’

জাতিসংঘের সাম্প্রতিক তথ্য অনুযায়ী, মার্চ মাসেই গাজায় ৩ হাজার ৭০০ শিশু তীব্র অপুষ্টিতে ভুগছে বলে শনাক্ত করা হয়েছে। এই সংখ্যা ফেব্রুয়ারির তুলনায় প্রায় ৮০ শতাংশ বেশি, যা পরিস্থিতি কতটা ভয়াবহ সেটিকে স্পষ্ট করে তোলে।
ইসরায়েলি হামলার পাশাপাশি খাদ্য ও অন্যান্য জরুরি সরবরাহের অভাব গাজার শিশুদের জীবনকে দুর্বিষহ করে তুলেছে। আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় অবিলম্বে গাজায় মানবিক সহায়তা বৃদ্ধি এবং সংঘাত বন্ধের আহ্বান জানিয়েছে। শিশুদের স্বাস্থ্য ও জীবন রক্ষায় দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়া জরুরি বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।