শীঘ্রই বাংলাদেশে পূর্ণমাত্রায় বিদ্যুৎ সরবরাহ শুরু করবে আদানি
আগামী কয়েক দিনের মধ্যেই আদানি পাওয়ার বাংলাদেশে এক হাজার ৬০০ মেগাওয়াট ক্ষমতাসম্পন্ন বিদ্যুৎকেন্দ্র থেকে পূর্ণ সরবরাহ পুনরায় চালু করতে সম্মত হয়েছে। তবে ছাড় ও কর সুবিধার অনুরোধ প্রত্যাখ্যান করেছে কোম্পানিটি।
দুটি সূত্রের বরাত দিয়ে শুক্রবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) বার্তা সংস্থা রয়টার্সের এক প্রতিবেদন থেকে এই তথ্য জানা গেছে।
গত ৩১ অক্টোবর থেকে গৌতম আদানির কোম্পানি বাংলাদেশে বিদ্যুৎ সরবরাহ অর্ধেক কমিয়ে দেয়। ফলে ১ নভেম্বর বিদ্যুৎকেন্দ্রটির দুটি ইউনিটের একটির কার্যক্রম বন্ধ হয়ে যায়। এরপর বাংলাদেশ শীতকালীন কম চাহিদার কথা উল্লেখ করে এবং বিল পরিশোধ ইস্যুর কারণে শুধুমাত্র অর্ধেক বিদ্যুৎ সরবরাহ চালিয়ে যাওয়ার অনুরোধ করে।
গ্রীষ্মকালীন চাহিদার আগে এবং বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের (বিপিডিবি) অনুরোধে, আদানি পাওয়ার আগামী সপ্তাহে পূর্ণ সরবরাহ পুনরায় চালুর সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
তবে, আদানি পাওয়ার বাংলাদেশের ছাড় ও আর্থিক সুবিধার দাবিগুলো মেনে নেয়নি, যা কোটি কোটি ডলারের আর্থিক ছাড়ের ব্যাপার বলে জানায় সূত্রগুলো। মঙ্গলবার একটি ভার্চুয়াল বৈঠক হয় এবং আরও আলোচনার সম্ভাবনা রয়েছে।
![](https://publisher.ntvbd.com/sites/default/files/styles/very_big_1/public/images/2025/02/15/adani_1.jpg)
সূত্রের বরাত দিয়ে প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, "তারা এক মিলিয়ন ডলারও ছাড় দিতে রাজি নয়।"
বিপিডিবির চেয়ারম্যান মো. রেজাউল করিম মতপার্থক্য নিয়ে কোনো মন্তব্য করেননি। তবে তিনি রয়টার্সকে বলেছেন, "আদানির সঙ্গে এখন আর বড় কোনো সমস্যা নেই", এবং পূর্ণ বিদ্যুৎ সরবরাহ শিগগিরই শুরু হবে। বর্তমানে আদানি পাওয়ারকে বিদ্যুৎ কেনা বাবদ প্রতি মাসে ৮৫ মিলিয়ন ডলারের বেশি পরিশোধের চেষ্টা করা হচ্ছে।
আদানি পাওয়ারের একজন মুখপাত্র রয়টার্সের মন্তব্যের অনুরোধে তাৎক্ষণিকভাবে সাড়া দেননি। তবে মঙ্গলবার এক বিবৃতিতে কোম্পানিটি জানিয়েছে, "একটি বিদ্যুৎ উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানের সরবরাহ নির্ভর করে ক্রেতার চাহিদার ওপর, যা পরিবর্তিত হতে থাকে।"
ডিসেম্বরে আদানি গ্রুপের এক সূত্র জানিয়েছিল, বিপিডিবি কোম্পানিটি থেকে প্রায় ৯০০ মিলিয়ন ডলার পাওনা। অন্যদিকে, রেজাউল করিম দাবি করেছিলেন, এই পরিমাণ প্রায় ৬৫০ মিলিয়ন ডলার।