পাকিস্তানি নারীকে বিয়ে করে চাকরি গেল ভারতীয় পুলিশের!

পাকিস্তানি নারীকে বিয়ে করে বরখাস্ত হয়েছেন ভারতের কেন্দ্রীয় রিজার্ভ পুলিশ ফোর্সের (সিআরপিএফ) এক কনস্টেবল। বরখাস্ত হওয়া সেই পুলিশ কনস্টেবল হলেন মুনির আহমেদ।
আজ রোববার (৪ মে) এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি।
পাকিস্তানি নাগরিক মিনাল খানকে বিয়ের বিষয়টি গোপন রাখা এবং তাঁর স্বল্পমেয়াদি ভিসার মেয়াদ শেষ হওয়ার পরও তাঁকে নিজ বাসায় রাখার কারণে মুনির আহমেদকে বরখাস্ত করা হয়েছে বলে জানিয়েছে সিআরপিএফ। সিআরপিএফ বলছে, এ কাজ জাতীয় নিরাপত্তার জন্য হুমকি।
এদিকে মুনির আদালতে যাবেন বলে জানিয়েছেন। তিনি ন্যায়বিচার পাবেন বলে আশাবাদী।
মুনির আহমেদ বলেন, ‘প্রথমে আমি সংবাদমাধ্যমের মাধ্যমে বরখাস্ত হওয়ার খবর জানতে পারি। কিছু সময় পর সিআরপিএফ থেকে চিঠি পাই। যেখানে আমাকে বরখাস্তের কথা জানানো হয়।’
অনুমতি নিয়েই বিয়ে করেছিলেন দাবি করে মুনির আহমেদ বলেন, ‘আমি পাকিস্তানি নাগরিককে বিয়ের জন্য সদর দপ্তরের অনুমতি নিয়েছিলাম এবং অনুমতি পেয়েছিলাম।’
এনডিটিভির প্রতিবেদনে বলা হয়, মিনাল খান গত ২৮ ফেব্রুয়ারি আটারি-ওয়াঘা সীমান্ত দিয়ে ভারতে আসেন। ২২ মার্চ পর্যন্ত তাঁর ভিসার মেয়াদ ছিল। তবে আদালত শেষ মুহূর্তে তাঁকে দেশে ফেরত পাঠানোর সিদ্ধান্ত স্থগিত করে। বর্তমানে তিনি জম্মুতে তাঁর স্বামীর বাসায় আছেন।
মুনির আহমেদ বলেন, ‘আমি আমার নিজস্ব হলফনামা ছাড়াও বাবা-মা, গ্রামের সরপঞ্চ এবং জেলা উন্নয়ন পরিষদের সদস্যদের হলফনামাও যথাযথ চ্যানেলের মাধ্যমে জমা দিই। পরে ২০২৪ সালের ৩০ এপ্রিল সদর দপ্তর থেকে অনুমোদন পাই।’

মুনির আহমেদ আরও বলেন, ‘২০২৩ সালের ২৪ মে আমরা ভিডিও কলে বিয়ে করি। পরে আমি আমার কর্মস্থল ৭২ ব্যাটালিয়নে বিয়ের ছবি, নিকাহনামা ও বিবাহ সনদ জমা দিই।’
উল্লেখ্য, বিতর্কিত কাশ্মীর ভূখণ্ডের ভারতীয় অংশে সম্প্রতি এক বন্দুক হামলায় ২৬ জন বেসামরিক নাগরিক নিহত হয়। এই হামলার জন্য সরাসরি পাকিস্তানকে দায়ী করেছে ভারত।
ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ইতোমধ্যেই তার সেনাবাহিনীকে এর সমুচিত জবাব দেওয়ার জন্য ‘পূর্ণ স্বাধীনতা’ দিয়েছেন। পাল্টা পদক্ষেপ হিসেবে পাকিস্তানও তাদের প্রতিবেশীর দিক থেকে সম্ভাব্য যেকোনো আগ্রাসন মোকাবিলায় প্রস্তুত থাকার কথা জানিয়েছে। দুই দেশের মধ্যে চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে।