টিকটকসহ বাণিজ্য ইস্যুতে ট্রাম্প-শি ফোনালাপ

তুমুল জনপ্রিয় ও প্রভাবশালী ভিডিও অ্যাপ টিকটকের চূড়ান্ত ভাগ্য নির্ধারণের লক্ষ্যে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের মধ্যে টেলিফোনে সংলাপ হয়েছে। আজ শুক্রবার (১৯ সেপ্টেম্বর) বহুকাঙ্ক্ষিত এই আলোচনায় দুই বিশ্বনেতা টিকটক প্রসঙ্গের বাইরে দুদেশের মধ্যে বাণিজ্য নিয়েও আলোচনা করেছেন। খবর এএফপির।
চীনের রাষ্ট্রীয় সম্প্রচার মাধ্যম সিসিটিভি এবং বার্তা সংস্থা শিনহুয়া জানিয়েছে, দুই নেতার মধ্যে আলোচনা শুরু হয়েছে।
এ প্রসঙ্গে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প গতকাল বৃহস্পতিবার ফক্স নিউজকে বলেছিলেন, তারা টিকটক ও বাণিজ্য নিয়ে আলোচনা করতে যাচ্ছেন। ট্রাম্প বলেন, এ বিষয়ে একটি চুক্তির খুব কাছাকাছি পৌঁছে গেছি আমরা। চীনের সঙ্গে আমার সম্পর্ক খুবই ভালো অবস্থায় রয়েছে।
প্রেসিডেন্ট হিসেবে ডোনাল্ড ট্রাম্প জানুয়ারিতে ক্ষমতায় আসার পর এ নিয়ে দ্বিতীয়বার চীনের প্রেসিডেন্টের সঙ্গে টেলিফোনে কথা বললেন।
গত ৫ জুন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প জানান, প্রেসিডেন্ট শি তাকে চীন সফরের আমন্ত্রণ জানিয়েছেন। পাল্টা আমন্ত্রণে ডোনাল্ড ট্রাম্পও শি জিনপিংকে যুক্তরাষ্ট্র সফরের আহ্বান জানান। তবে এরপর দুই নেতার পক্ষ থেকে কোনো সফরের পরিকল্পনা নেওয়া হয়নি। এদিকে, বিশ্লেষকরা বলছেন শুক্রবার ফোনালাপে শি জিনপিং আবারও প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পকে চীন সফরের আমন্ত্রণ জানিয়েছেন বলে তারা মনে করছেন।
যুক্তরাষ্ট্র টিকটকের প্যারেন্ট কোম্পানি বাইটড্যান্সকে সে দেশে ব্যবসা করতে মালিকানা হস্তান্তরের জন্য আইনের দোহাই দিয়ে আসছে। জাতীয় নিরাপত্তার জন্য হুমকি হিসেবে টিকটকের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞাও দেয় যুক্তরাষ্ট্র। বৃহস্পতিবার ট্রাম্প সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলার সময় আশা প্রকাশ করেন যে, টিকটকের বিষয়ে একটি চূড়ান্ত সিদ্ধান্তে পৌঁছা যাবে। এই চুক্তি বাস্তবায়িত হলে ট্রাম্পের ভাষায় টিকটক হবে মার্কিন বিনিয়োগকারীদের মালিকানাধীন একটি সম্পদশালী কোম্পানি।

এদিকে, বাণিজ্যের ক্ষেত্রে শুল্ক নির্ধারণের বিষয়ে একটি সমঝোতায় আসতে বিশ্বে দুই বৃহত্তর অর্থনৈতিক শক্তি প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। এ বছরের শুরুর দিকে দুই দেশ একে-অপরের ওপর বাণিজ্যে শুল্কের হার নাটকীয়ভাবে বাড়িয়ে দেয়। এর প্রভাব পড়ে বিশ্ব বাণিজ্যেও।
নভেম্বরে যুক্তরাষ্ট্র ও চীন একে-অন্যের ওপর থেকে শুল্কের হার কমিয়ে দেয়। চীনা পণ্য আমদানিতে যুক্তরাষ্ট্র ৩০ শতাংশ শুল্কারোপ করে। অন্যদিকে, চীন মার্কিন পণ্য আমদানিতে ১০ শতাংশ শুল্ক আরোপের সিদ্ধান্ত নেয়।