মার্কিন হামলা ক্ষমার অযোগ্য, উপযুক্ত জবাব দেবে ইরান : আরাগচি

পারমাণবিক স্থাপনায় যুক্তরাষ্ট্রের চালানো হামলাকে ক্ষমার অযোগ্য ‘আন্তর্জাতিক আইনের লঙ্ঘন’ হিসেবে আখ্যায়িত করে এর উপযুক্ত জবাব দেওয়ার প্রত্যয় ব্যক্ত করেছেন ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্বাস আরাগচি। আজ রোববার (২২ জুন) তুরস্কের ইস্তাম্বুলে ইসলামিক সহযোগিতা সংস্থার (ওআইসি) বৈঠকে অংশ নিয়ে তিনি স্পষ্ট জানিয়েছেন, এই মুহূর্তে তেহরান আর কোনো কূটনৈতিক আলোচনার জন্য প্রস্তুত নয়। খবর আলজাজিরার।
আরাগচি বলেন, ‘কূটনীতির দরজা সবসময় খোলা রাখা উচিত, কিন্তু এখন আর সেই পরিস্থিতি নেই। আমার দেশ আক্রমণের শিকার হয়েছে, আগ্রাসনের শিকার হয়েছে। আমাদের এখন আত্মরক্ষার জন্য বৈধ অধিকারের ভিত্তিতে জবাব দিতে হবে।’
ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী জোর দিয়ে বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের এই ‘যুদ্ধবাজ ও আইনহীন’ প্রশাসন তাদের আগ্রাসী কর্মকাণ্ডের ‘বিপজ্জনক পরিণতি ও সুদূরপ্রসারী প্রভাবে ‘ জন্য এককভাবে দায়ী থাকবে।
আরাগচি বলেন, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প তার নিজের সমর্থকদের সঙ্গেও বিশ্বাসঘাতকতা করেছেন। তিনি এই অঞ্চলে আমেরিকার ব্যয়বহুল ‘চিরস্থায়ী যুদ্ধ’ শেষ করার অঙ্গীকার নিয়ে নির্বাচিত হয়েছিলেন। কিন্তু তিনি কূটনৈতিক আলোচনার প্রতি আমাদের অঙ্গীকারের অপব্যবহার করে কেবল ইরানের সঙ্গেই বিশ্বাসঘাতকতা করেননি, বরং নিজের ভোটারদেরও প্রতারিত করেছেন।
ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আরও বলেন, ইসরায়েরের সঙ্গে যোগসাজশে জাতিসংঘের একটি সদস্য রাষ্ট্রের ভৌগোলিক অখণ্ডতা ও জাতীয় সার্বভৌমত্বের ওপর সামরিক হামলা চালিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। যা ইরানের শান্তিপ্রিয় জনগণের প্রতি মার্কিন শত্রুতাকে আবারও উন্মোচন করেছে।

আরাগচি দৃঢ়তার সঙ্গে বলেন, ‘আমরা কখনও আমাদের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বের সঙ্গে আপস করব না। ইসলামিক প্রজাতন্ত্র ইরান শুধু মার্কিন সামরিক আগ্রাসন নয়, ইসরায়েলি শাসনের বেপরোয়া ও বেআইনি পদক্ষেপ থেকেও ইরানের ভূখণ্ড, সার্বভৌমত্ব ও জনগণকে প্রয়োজনীয় সুরক্ষা দেবে।