পশ্চিমাদের ওপর হামলার জন্য রাশিয়াকে প্রস্তুত থাকতে হবে : মেদভেদেভ

রাশিয়ার সাবেক প্রেসিডেন্ট দিমিত্রি মেদভেদেভ, ন্যাটো বা ইউরোপে আক্রমণের রাশিয়ার কোনো পরিকল্পনা নেই। তবে যদি পশ্চিমা দেশগুলো ইউক্রেন যুদ্ধকে আরও উত্তপ্ত করে তোলে, তাহলে মস্কোকে পূর্ণ জবাব দিতে হবে। প্রয়োজনে পূর্বপ্রতিরোধমূলক হামলা চালাতে হবে।
অস্ত্র ও নিষেধাজ্ঞার বিষয়ে ট্রাম্পের সর্বশেষ সিদ্ধান্তের সমালোচনা করেছে রাশিয়ার সাবেক এই প্রেসিডেন্ট বলেছেন, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ইউক্রেনে অস্ত্র সরবরাহ বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত কিয়েভের জন্য শান্তি প্রচেষ্টা পরিত্যাগ করার শামিল। ওয়াশিংটনের নতুন নিষেধাজ্ঞার আল্টিমেটাম রাশিয়া মেনে নেবে না।
মেদভেদেভের বক্তব্যে বোঝা যাচ্ছে ইউক্রেন ইস্যুতে পশ্চিমা বিশ্বের সঙ্গে মস্কোর সংঘাত আরও বাড়তে পারে। বিশেষ করে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প যখন ৫০ দিনের মধ্যে শান্তিচুক্তির সময় বেঁধে দিয়েছেন।
মেদভেদেভ বলেন, পশ্চিমা নেতারা ইচ্ছাকৃতভাবে উত্তেজনা বাড়াতে চাইছে। আমাদের সেই অনুযায়ী কাজ করতে হবে। পূর্ণভাবে প্রতিক্রিয়া জানাতে হবে এবং প্রয়োজনে, পূর্বপ্রতিরোধমূলক হামলা চালাতে হবে। পশ্চিমা নেতারা নিজেদের শ্রেষ্ঠত্বের ভ্রান্ত ধারণায় বুঁদ হয়ে আছেন এবং তাদের রক্তে বিশ্বাসঘাতকতা মিশে আছে।
মেদভেদেভের বক্তব্য সম্পর্কে ক্রেমলিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ বলেন, মেদভেদেভ তার মতামত প্রকাশ করেছেন এবং ইউরোপের বর্তমান সংঘাতপূর্ণ পরিবেশ নিয়ে তার উদ্বেগ যৌক্তিক।
মেদভেদেভ বর্তমানে রাশিয়ার নিরাপত্তা কাউন্সিলের উপ-চেয়ারম্যান। প্রেসিডেন্ট থাকাকালে তাকে একজন আধুনিকতাবাদী ও উদারপন্থি ভাবা হলেও এখন তিনি ক্রেমলিনের কঠোর পশ্চিমবিরোধী কণ্ঠস্বর হিসেবে পরিচিত।

যুক্তরাষ্ট্র বলেছে, ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে এরই মধ্যে ১২ লাখ মানুষ আহত বা নিহত হয়েছে, যা দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর ইউরোপের সবচেয়ে ভয়াবহ সংঘাত।
অপরদিকে মস্কো বলছে, ন্যাটোর সম্প্রসারণ থেকে নিজেদের রক্ষা করার জন্য তারা যুদ্ধ শুরু করতে বাধ্য হয়েছিল। ইউক্রেন ও বেশিরভাগ পশ্চিমা সরকার রাশিয়ার যুদ্ধকে ঔপনিবেশিক ধাঁচের ভূমি দখল বলে অভিহিত করে।