ক্রেমলিন তার মিত্র ইরান ও ইসরায়েলের মধ্যে যুদ্ধবিরতির খবরকে স্বাগত জানিয়েছে এবং আশা করছে এটি ‘টেকসই’ হবে। ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্বাস আরাঘচি মস্কোতে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে সাক্ষাতের একদিন পর মঙ্গলবার (২৪ জুন) ক্রেমলিন এই মন্তব্য করে। খবর সিএনএনের।

ক্রেমলিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ মঙ্গলবার তার দৈনিক ব্রিফিংয়ে সাংবাদিকদের বলেন, ‘যদি সত্যিই যুদ্ধবিরতি হয়ে থাকে, তবে এটি কেবল স্বাগত জানানো যেতে পারে এবং হওয়া উচিত।’ 

পেসকভ আরও বলেন, ‘এই সংঘাতের শুরু থেকেই রাশিয়ান ফেডারেশন এটির (যুদ্ধবিরতির) জন্য আহ্বান জানিয়ে আসছে। আমরা আশা করি এটি একটি টেকসই যুদ্ধবিরতি হবে।’

ইউক্রেনের বিরুদ্ধে যুদ্ধের সময় ইরান রাশিয়ার অন্যতম শক্তিশালী মিত্র ছিল। রোববার (২২ জুন) ইরানের পারমাণবিক স্থাপনাগুলোতে মার্কিন হামলার নিন্দা জানিয়েছিল মস্কো।

পেসকভ বলেছেন, সোমবার (২৩ জুন) পুতিনের সঙ্গে সাক্ষাতের সময় আরাঘচি মধ্যপ্রাচ্য সংকটে রাশিয়ার ‘স্পষ্ট অবস্থান’ এর ‘উচ্চ প্রশংসা’ করেছেন।

রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছিল, আরাঘচি পুতিনের কাছে সর্বোচ্চ নেতা আলী খামেনির একটি চিঠি পৌঁছে দিয়েছেন, যেখানে অতিরিক্ত সহায়তার জন্য অনুরোধ করা হয়েছে। তবে পেসকভ তা অস্বীকার করেছেন, যদিও স্বীকার করেছেন যে কিছু বার্তা পৌঁছে দেওয়া হয়েছে।

পেসকভ বলেন, ‘কোনো লিখিত নথি ছিল না। এটা সত্য যে, ইরানি নেতৃত্বের কাছ থেকে কিছু সংকেত পাওয়া গেছে, কিন্তু সামগ্রিকভাবে রয়টার্সের প্রতিবেদন বাস্তবতা প্রতিফলিত করে না।’ তিনি আরও জানান, মস্কোতে আলোচনার সময় ইরান ও রাশিয়া আমেরিকান হামলার প্রতি তেহরানের প্রতিক্রিয়া নিয়ে আলোচনা করেনি।