ভূমধ্যসাগরে জাহাজডুবিতে ২০ অভিবাসীর মৃত্যু, নিখোঁজ অনেকে

ভূমধ্যসাগরে একটি জাহাজডুবিতে কমপক্ষে ২০ জন শরণার্থী ও অভিবাসীর মৃত্যু হয়েছে। উদ্ধার অভিযান এখনো চলমান রয়েছে, আরও অনেকে নিখোঁজ থাকতে পারে বলে জানিয়েছে জাতিসংঘের শরণার্থী সংস্থা (ইউএনএইচসিআর)। বুধবার (১৩ আগস্ট) দক্ষিণ ইতালির ল্যাম্পেডুসা দ্বীপের কাছে এই দুর্ঘটনায় ৬০ জনকে জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে।
ইতালীয় রেড ক্রস ও ইউএনএইচসিআর জানিয়েছে, উদ্ধারকর্মীরা ২০টি মৃতদেহ খুঁজে পেয়েছে, জীবিত ৬০ জনকে ল্যাম্পেডুসা উপকূলে আনা হয়েছে। জীবিতদের মধ্যে ৫৬ জন পুরুষ ও চারজন নারী রয়েছেন।
ইতালীয় রেড ক্রসের কর্মকর্তা ক্রিস্টিনা পালমা জানিয়েছেন, জীবিতদের স্বাস্থ্য ‘ভালো’ থাকলেও চারজনকে পরীক্ষার জন্য হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
উদ্ধারকৃতদের প্রাথমিক তথ্যমতে, তারা লিবিয়ার ত্রিপোলি এলাকা থেকে দুটি নৌকায় করে যাত্রা শুরু করেছিল। একটি নৌকা ডুবে যেতে শুরু করলে যাত্রীরা অন্য নৌকায় স্থানান্তরিত হয়, যা পরে উত্তাল সাগরে ডুবে যায়।
এই ঘটনা আফ্রিকা থেকে ইউরোপে বিপজ্জনক ভূমধ্যসাগর পাড়ি দেওয়ার সময় অভিবাসীদের ওপর ঘটে যাওয়া সর্বশেষ দুর্যোগ।
ইউএনএইচসিআরের মুখপাত্র ফিলিপ্পো উঙ্গারো বলেন, চলতি বছরের শুরু থেকে এ পর্যন্ত মধ্য ভূমধ্যসাগরে ৬৭৫ জন মানুষ মারা গেছেন।
মানবাধিকার গোষ্ঠীগুলো দীর্ঘদিন ধরেই লিবিয়ায় শরণার্থী ও অভিবাসীদের ওপর পদ্ধতিগত নির্যাতনের কথা নথিভুক্ত করেছে। যার মধ্যে রয়েছে নির্যাতন, ধর্ষণ ও চাঁদাবাজি। এই কারণেই বহু মানুষ জীবনের ঝুঁকি নিয়ে সমুদ্রপথে ইউরোপে পৌঁছানোর চেষ্টা করে।

ইতালির প্রধানমন্ত্রী জর্জিয়া মেলোনির ডানপন্থি সরকার আফ্রিকা থেকে সমুদ্রপথে অভিবাসীদের আসা বন্ধ করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। তারা মানব পাচারকারীদের বিরুদ্ধে কঠোর কারাদণ্ডের মতো শাস্তির ব্যবস্থা নিয়েছে। এই সমস্যা মোকাবিলায় মিত্রদের প্রতি আরও বেশি পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছে ইতালির সরকার।