নরওয়ের মন্ত্রীকে ফোন দিয়ে নোবেল পুরস্কার চান ট্রাম্প : রিপোর্ট

গত মাসে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প শুল্ক নিয়ে আলোচনা করার জন্য নরওয়ের অর্থমন্ত্রীকে ফোন করেছিলেন। এ সময় ট্রাম্প নরওয়ের মন্ত্রী জেন্স স্টলটেনবার্গকে বলেন, তিনি নোবেল শান্তি পুরস্কার চান। বৃহস্পতিবার (১৪ আগস্ট) নরওয়ের দৈনিক ডাগেনস নায়েরিংস্লিভ এ খবর জানিয়েছে। খবর রয়টার্সের।
ইসরায়েল, পাকিস্তান ও কম্বোডিয়াসহ বেশ কয়েকটি দেশ ইতোমধ্যে শান্তি চুক্তি বা যুদ্ধবিরতিতে মধ্যস্থতার জন্য ট্রাম্পকে নোবেল পুরস্কারের জন্য মনোনীত করেছে। এ ছাড়া ট্রাম্প বলেছেন, তিনি নরওয়েজিয়ান-প্রদত্ত সম্মানের (নোবেল) যোগ্য, যা তার হোয়াইট হাউসের চার পূর্বসূরী পেয়েছিলেন।
‘যখন অর্থমন্ত্রী জেন্স স্টলটেনবার্গ অসলোতে রাস্তায় হাঁটছিলেন, তখন ডোনাল্ড ট্রাম্প অপ্রত্যাশিতভাবে ফোন করেন’, নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক সূত্রের বরাত দিয়ে ড্যাগেনস নায়েরিংস্লিভ এ কথা জানায়।
পত্রিকাটি জানায়, তিনি (ট্রাম্প) নোবেল পুরষ্কার এবং শুল্ক নিয়ে আলোচনা করতে চেয়েছিলেন।
বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে এ বিষয়ে অর্থমন্ত্রী স্টলটেনবার্গ বলেন, নরওয়ের প্রধানমন্ত্রী জোনাস স্টোয়েরের সঙ্গে ট্রাম্পের আলোচনার আগে শুল্ক ও অর্থনৈতিক সহযোগিতা নিয়ে এই ফোনালাপ করা হয়। কথোপকথনের বিষয়বস্তু সম্পর্কে আমি আর বিস্তারিত বলব না।
স্টলটেনবার্গ আরও বলেন, মার্কিন অর্থমন্ত্রী স্কট বেসেন্ট ও মার্কিন বাণিজ্য প্রতিনিধি জেমিসন গ্রিয়ারসহ হোয়াইট হাউসের বেশ কয়েকজন কর্মকর্তা এই ফোনালাপে অংশ নিয়ে ছিলেন।
হোয়াইট হাউস ও নরওয়েজিয়ান নোবেল কমিটির পক্ষ থেকে এ বিষয়ে মন্তব্যের জন্য অনুরোধ করলেও তারা সাড়া দেয়নি।

প্রতি বছর শত শত প্রার্থী মনোনীত হওয়ার কারণে নরওয়ের নোবেল কমিটি বিজয়ীদের নির্বাচন করে, যার পাঁচজন সদস্য দেশটির সংসদ কর্তৃক নিযুক্ত হন। অক্টোবরে অসলোতে নোবেল পুরস্কার বিজয়ীদের নাম ঘোষণা করা হতে পারে।
৩১ জুলাই হোয়াইট হাউস ইউরোপীয় ইউনিয়নের অন্যান্য দেশের মতো নরওয়ে থেকেও আমদানির ওপর ১৫ শতাংশ শুল্ক আরোপের ঘোষণা দিয়েছে। স্টলটেনবার্গ বুধবার বলেছেন, নরওয়ে ও যুক্তরাষ্ট্র এখনও শুল্ক নিয়ে আলোচনা করছে।