পুতিনের সঙ্গে শীর্ষ বৈঠক করতে আলাস্কার পথে ট্রাম্প

ইউক্রেনের ভবিষ্যত নির্ধারণে একটি ‘উচ্চ মাত্রার ঝুঁকিপূর্ণ’ শীর্ষ সম্মেলনে অংশ নিতে আজ শুক্রবার (১৫ আগষ্ট) আলাস্কার উদ্দেশে যাত্রায় রাজধানী ওয়াশিংটন ছেড়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। মূলত ইউক্রেন যুদ্ধের সমাপ্তি ও দেশটির ভবিষ্যত নিয়ে সিদ্ধান্ত নিতে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে আয়োজিত এই শীর্ষ সম্মেলনে অংশ নিতে যাচ্ছেন তিনি। খবর এএফপির।
রাজধানী ওয়াশিংটন থেকে মার্কিন প্রেসিডেন্টের বিমান বহর এয়ারফোর্স ওয়ানে ওঠার আগে নিজের ট্রুথ সোশ্যাল প্লাটফর্মে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প লেখেন, ‘হাই স্টেকস!’ (উচ্চ মাত্রা)। আলাস্কার এঙ্কোরেজের উদ্দেশে সাত ঘণ্টার বিমান যাত্রায় এখন পথে রয়েছেন তিনি।
এই শীর্ষ সম্মেলনের মাধ্যমে ২০২২ সালে রাশিয়া ইউক্রেনে আগ্রাসী হামলা চালানো শুরু করার পর প্রথমবারের মতো কোনো পশ্চিমা দেশে যাচ্ছেন রুশ নেতা ভ্লাদিমির পুতিন। ইউক্রেন যুদ্ধে এ পর্যন্ত ১০ হাজারেরও বেশি লোক নিহত হয়েছে এবং এই শীর্ষ সম্মেলনের আগে দেশটির ওপর বিরামহীন হামলা চালিয়ে বেশ সুবিধাজনক অবস্থায় আছে রাশিয়া।
রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট পুতিনের পরামর্শ অনুযায়ী এই শীর্ষ বৈঠক আয়োজনের উদ্যোগ নেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তবে ট্রাম্প বলেছেন, এই বৈঠকে পুতিন যদি কোনো ছাড় না দেন তবে তা কয়েক মিনিট স্থায়ী হতে পারে।
এদিকে, এই শীর্ষ বৈঠক সামনে রেখে প্রতিটি ঘটনা ও দুই নেতার গতিবিধির ওপর চোখ রাখছেন ইউরোপীয় নেতারা। বিশেষ করে প্রতি মুহূর্তের খবরাখবর নিচ্ছেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি। যদিও ইউক্রেন নিয়ে এই শীর্ষ বৈঠক, কিন্তু রাশিয়ার প্রস্তাব অনুযায়ী ইউক্রেন তার ভূখণ্ডের বেশকিছু অংশ ছেড়ে দিতে রাজি না হওয়ায় জেলনস্কি এই বৈঠকে থাকছেন না।
এর আগে ২০১৯ সালে ডোনাল্ড ট্রাম্প ও ভ্লাদিমির পুতিনের দেখা হয়েছিল। তাই এই বৈঠক নিয়ে বেশ উচ্ছ্বসিত মার্কিন প্রেসিডেন্ট। তিনি এই বৈঠককে ‘অনুভূতিপ্রবণ’ হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন।

এ বিষয়ে গতকাল বৃহস্পতিবার ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেন, যদি বৈঠকটি ভালোভাবে না হয়, তবে তা খুব দ্রুতই শেষ হয়ে যাবে। তবে যদি এটি ভালো একটি বৈঠক হয়, তবে তা নিকট ভবিষ্যতের জন্য শান্তি আনতে পারবে, আমরা সেভাবেই তা করতে চাইছি।
তবে আজ শুক্রবার এঙ্কোরেজের উদ্দেশে যাত্রা শুরুর আগে সাংবাদিকদের সামনে খুব আশার কথা শোনান ট্রাম্প। বিমানে ওঠার আগে তিনি বলেন, ‘দুপক্ষের একেঅন্যর প্রতি বেশ সম্মান রয়েছে এবং আমি মনে করি এর মাধ্যমে ভালো কিছু বের হয়ে আসবে।’