যুক্তরাষ্ট্রে আঘাত হানতে সক্ষম ইরানের মিসাইল?

জাতিসংঘের নিষেধাজ্ঞা পুনর্বহালের জন্য পশ্চিমা দেশগুলোর প্রস্তুতির ঘোষণার পর পাল্টা হুমকি দিয়েছে ইরান। দেশটির একজন আইনপ্রণেতা দাবি করেছেন, তেহরান অফশোর অবস্থান থেকে (উপকূল থেকে দূরে) মার্কিন শহরগুলোতে হামলা চালাতে পারে। তিনি বলেন, প্রতিটি ইউরোপীয় দেশও এখন ইরানের ক্ষেপণাস্ত্রের আওতায় রয়েছে। খবর জেরুজালেম পোস্টের।
পার্লামেন্টের জাতীয় নিরাপত্তা ও বৈদেশিক নীতি কমিশনের সদস্য আমির হায়াত-মোকাদ্দাম বলেন, ইসলামিক রেভল্যুশনারি গার্ড কর্পসের অ্যারোস্পেস ফোর্স গত ২০ বছর ধরে এমন ক্ষমতা অর্জনে কাজ করছে।
আমির হায়াত আরও বলেন, তাদের যুদ্ধজাহাজগুলো মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের দুই হাজার কিলোমিটারের মধ্যে গিয়ে ওয়াশিংটন, নিউ ইয়র্কসহ অন্যান্য শহরে আঘাত হানতে সক্ষম।
যুক্তরাজ্য, ফ্রান্স ও জার্মানি আনুষ্ঠানিকভাবে সতর্ক করে দিয়েছে যে, আগস্টের শেষ নাগাদ ইরান পারমাণবিক আলোচনায় ফিরে না এলে ২০১৫ সালের চুক্তির অধীনে প্রত্যাহার করা জাতিসংঘের নিষেধাজ্ঞাগুলো পুনরায় বহাল করা হবে। এই ‘স্ন্যাপব্যাক’ ব্যবস্থার আশঙ্কায় ইরানের পক্ষ থেকে এমন কঠোর প্রতিক্রিয়া এসেছে।
তবে, সামরিক বিশ্লেষকরা বলছেন, ইরানের বর্তমান ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্রের পাল্লা এ হাজার থেকে এক হাজার ৩৫০ কিলোমিটার পর্যন্ত, যা মার্কিন মূল ভূখণ্ডে আঘাত হানার জন্য যথেষ্ট নয়। এটি বাস্তব হুমকির চেয়ে একটি রাজনৈতিক কৌশল হতে পারে, যা একদিকে নিজেদের সামরিক সক্ষমতা তুলে ধরা ও অন্যদিকে অভ্যন্তরীণভাবে একটি শক্তিশালী বার্তা দেওয়ার চেষ্টা।

২০২৪ সালের এপ্রিলে ইরান প্রথমবারের মতো সরাসরি ইসরায়েলে শত শত ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করে, যদিও এগুলোর বেশিরভাগই প্রতিহত করা হয়েছিল। এই ঘটনাটি ইরানের বৃহৎ আক্রমণ ক্ষমতা প্রমাণ করে। তবে, সমুদ্র থেকে মার্কিন মূল ভূখণ্ডে আঘাত হানার মতো সক্ষমতা এখনো প্রমাণিত নয়।