গাজায় ইসরায়েলি হামলা ও অনাহারে আরও ৭২ ফিলিস্তিনি নিহত

ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় গত ২৪ ঘণ্টায় আরও ৭২ জন নিহত ও ৩৫৬ জন আহত হয়েছেন। গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ২০২৩ সালের অক্টোবর থেকে গাজায় ইসরায়েলের গণহত্যা শুরুর পর থেকে এ পর্যন্ত কমপক্ষে ৬৪ হাজার ৭১৮ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। এ সময়ে আহত হয়েছেন আরও এক লাখ ৬৩ হাজার ৮৫৯ জন।
মন্ত্রণালয়ের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, উদ্ধারকারীরা পৌঁছাতে না পারায় অনেক ভুক্তভোগী এখনো ধ্বংসস্তূপের নিচে ও রাস্তায় আটকা পড়ে আছেন।
এদিকে গত ২৪ ঘণ্টায় মানবিক সাহায্য পেতে গিয়ে ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর গুলিতে ৯ জন ফিলিস্তিনি নিহত ও ৮৭ জনেরও বেশি আহত হয়েছেন। ২৭ মে থেকে সাহায্য চাইতে গিয়ে মোট নিহতের সংখ্যা পৌঁছেছে দুই হাজার ৪৬৫ জনে। এছাড়া আহত হয়েছেন আরও ১৭ হাজার ৯৪৮ জনেরও বেশি ফিলিস্তিনি।
অপুষ্টি ও অনাহারে মৃত্যুর সংখ্যা বৃদ্ধি
গত ২৪ ঘণ্টায় অপুষ্টি ও অনাহারে এক শিশুসহ আরও সাতজন ফিলিস্তিনি মারা গেছেন। এতে ২০২৩ সালের অক্টোবর থেকে দুর্ভিক্ষ-সম্পর্কিত মৃত্যুর সংখ্যা ৪১১ জনে দাঁড়িয়েছে, যার মধ্যে ১৪২ জন শিশু।
জাতিসংঘ-সমর্থিত ক্ষুধা পর্যবেক্ষণ ব্যবস্থা ইন্টিগ্রেটেড ফুড সিকিউরিটি ফেজ ক্লাসিফিকেশন (আইপিসি) গত মাসে গাজাকে দুর্ভিক্ষ অঞ্চল ঘোষণা করার পর ১৩৩ জনের মৃত্যু হয়েছে, যার মধ্যে ২৭ জন শিশু। গত ২ মার্চ থেকে ইসরায়েলি কর্তৃপক্ষ গাজার সমস্ত সীমান্ত ক্রসিং সম্পূর্ণরূপে বন্ধ করে দেওয়ায় এই অঞ্চলের ২৪ লাখ মানুষ দুর্ভিক্ষের কবলে পড়েছে।

গত ১৮ মার্চ ইসরায়েলি সেনাবাহিনী গাজা উপত্যকায় পুনরায় আক্রমণ শুরু করে, যার পর থেকে এ পর্যন্ত ১২ হাজার ১৭০ জন নিহত ও ৫১ হাজার ৮১৮ জন আহত হয়েছেন। এই আক্রমণ জানুয়ারিতে কার্যকর হওয়া যুদ্ধবিরতি ও বন্দি বিনিময় চুক্তি ভেঙে দিয়েছে।
উল্লেখ্য, আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত গাজায় যুদ্ধাপরাধ ও মানবতাবিরোধী অপরাধের জন্য ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু ও তার প্রাক্তন প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইয়োভ গ্যালান্টের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছে। একই সঙ্গে, আন্তর্জাতিক বিচার আদালতে ইসরায়েল গণহত্যার মামলারও মুখোমুখি।