সাত সংগঠনের মোর্চা বিপ্লবী গণজোট বিদ্যমান নির্বাচনি আইনে দল নিবন্ধন সহজ করার দাবি জানিয়েছে। সেক্ষেত্রে নিবন্ধন শর্ত সংশোধন করে শুধু দলের কেন্দ্রীয় কমিটি, অফিস ও গঠনতন্ত্র দিয়েই যেন নিবন্ধন দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছে নির্বাচন কমিশনে।

আজ মঙ্গলবার (২০ মে) প্রধান নির্বাচন কমিশনারের নেতৃত্বে ইসির সঙ্গে বিপ্লবী গণজোটের সাত সদস্যের প্রতিনিধি বৈঠক করেন।

নভেম্বরে গঠিত নতুন এ জোটের মধ্যে রয়েছে- বাংলাদেশ গণমুক্তি পার্টি, বাংলাদেশ গ্রিন পার্টি, বিপ্লবী গরীব পার্টি, বাংলাদেশ সর্বজনীন দল, বাংলাদেশ পিস ফোরাম, বাংলাদেশের সাম্যবাদী দল ও প্রয়াত নেতা স্মৃতি সংসদ।

বিপ্লবী গণজোটের সমন্বয়ক ও গণমুক্তি পার্টির সাধারণ সম্পাদক আবদুল মোনেম বলেন, কমিশনের সঙ্গে কীভাবে আইনটি রিপ্লেস করা যায় সে বিষয়ে আলোচনা করেছি। শুধু কেন্দ্রীয় কমিটি, কেন্দ্রীয় অফিস ও গঠনতন্ত্র দিয়ে যেন নিবন্ধ করা যায়-আমরা সেটা চেয়েছি।

সাত সদস্যের প্রতিনিধি দলের আরও ছিলেন সর্বজনীন পার্টির সভাপতি নূর মোহাম্মদ মনির, গরীব পার্টির সভাপতি দিদার হোসেন, পিস ফোরামের আহ্বায়ক জসীম উদ্দিন রাজা, স্মৃতি সংসদের সাধারণ সম্পাদক অলক চৌধুরী, বাংলাদেশের সাম্যবাদী দলের পলিটব্যুরোর সদস্য আহমদ হোসেন ভূইয়া ও গ্রিন পার্টির মো. মোজাম্মেল হক।

আজ সকাল ১১টা থেকে আগারগাঁওস্থ নির্বাচন ভবনে সিইসির সম্মেলন কক্ষে দেড়ঘণ্টা ধরে বৈঠক চলে। বৈঠক শেষে বিপ্লবী গণজোটের সমন্বয়ক আবদুল মোনেম সাংবাদিকদের বলেন, এক এগারোর সরকার নিবন্ধন আইন নামে জঘন্য আইন চালু করেছিল। এ নিয়ে আমরা আন্দোলন করে আসছি। শেখ হাসিনা সরকার এসে সেই নিবন্ধন প্রক্রিয়া আরও কঠিন করেছিল। এতে রাজনীতিকে এমন একটা কঠিন পর্যায়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল যে একটা দল চালাতে মাসে কমপক্ষে ৩০ লাখ টাকা লাগবে। আমরা সেটার প্রতিবাদ করছিলাম। আজকে সে নিয়ে কথা বললাম।

আবদুল মোনেম দাবি করেন, আন্তর্জাতিকভাবে একটা কমিটির বা অফিসের ভিত্তিতে রাজনৈতিক দলের নিবন্ধন হয়।

নির্বাচনি আইন ও নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কারে নানা দাবি কমিশনের কাছে তুলে ধরা হয়েছে জানিয়ে মোনেম বলেন, আমাদের প্রস্তাবগুলোর মধ্যে কোনো কোনো বিষয় পাইলটিং হিসেবে নেবে বলে জানিয়েছে কমিশন।