লতিফ সিদ্দিকীর জামিন আবেদন প্রত্যাহার

রাজধানীর শাহবাগ থানার সন্ত্রাসবিরোধী আইনের মামলায় সাবেক মন্ত্রী আব্দুল লতিফ সিদ্দিকীর জামিন আবেদন প্রত্যাহার করে নিয়েছেন তার আইনজীবী। আজ বুধবার (৩ সেপ্টেম্বর) ঢাকার মহানগর হাকিম সেফাতুল্লাহর আদালতে লতিফ সিদ্দিকীসহ ৭ আসামি জামিনের আবেদন করেন। পরে দুপুরে শুনানি শেষে ৬ আসামির জামিন নাকচ করে দেন আদালত। তবে শুনানির সময় লতিফ সিদ্দিকীর আইনজীবী জামিনের আবেদন প্রত্যাহার করে দেন।
এ বিষয়ে লতিফ সিদ্দিকীর আইনজীবী তাহমীম মহিমা বাঁধন বলেন, ‘লতিফ সিদ্দিকী প্রথমে ওকালতনামায় সই করতে চাননি। পরে জেড আই খান পান্নার ওকালতনামা দেখে তিনি সই করেন। আজ আমরা লতিফ সিদ্দিকীর পক্ষে জামিন আবেদন করি। তিনি একজন বয়স্ক, অসুস্থ মানুষ। তিনি যে অসুস্থ এ বিষয়ে তার পরিবারের পক্ষ থেকে অসুস্থতার মেডিক্যাল রিপোর্ট দেওয়ার কথা ছিল। সেটা দেখিয়ে জামিনের জন্য শুনানি করার কথা ছিল। কিন্তু শুনানির আগে সঠিক সময় পরিবার মেডিক্যাল রিপোর্ট সরবরাহ করতে পারেনি। এজন্য তার জামিনের আবেদন আমরা প্রত্যাহার করে নেই।’
এজাহার থেকে জানা গেছে, মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস মুছে ফেলার গভীর ষড়যন্ত্র ও মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস বিকৃতি বন্ধের জন্য গত ৫ আগস্ট ‘মঞ্চ ৭১’ নামে একটি সংগঠনের আত্মপ্রকাশ ঘটে। এ সংগঠনের উদ্দেশ্য জাতির অর্জনকে মুছে ফেলার সব ষড়যন্ত্র প্রতিহত করতে বাংলাদেশের জনগণকে সঙ্গে নিয়ে আত্মত্যাগের প্রস্তুতি নেওয়া। প্রস্তুতির অংশ হিসেবে গত ২৮ আগস্ট সকাল ১০টায় একটি গোল টেবিল বৈঠকের আয়োজন করা হয়। এদিন সকাল ১১টায় ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে (ডিআরইউ) অনুষ্ঠান শুরু হয়। এর মধ্যেই এক দল ব্যক্তি হট্টগোল করে স্লোগান দিয়ে সভাস্থলে ঢুকে পড়েন। একপর্যায়ে তারা অনুষ্ঠানস্থলের দরজা বন্ধ করে দেন। অনুষ্ঠানে অংশ নেওয়া কয়েকজনকে লাঞ্ছিতও করেন। হট্টগোলকারীরা গোলটেবিল আলোচনার ব্যানার ছিঁড়ে ফেলেন এবং আলোচনায় অংশ নেওয়াদের অবরুদ্ধ করে রাখেন। এক পর্যায়ে অতিথিদের অনেককে বের করে দেওয়া হলেও আব্দুল লতিফ সিদ্দিকী এবং অধ্যাপক শেখ হাফিজুর রহমানকে অবরুদ্ধ করে রাখেন তারা। পরে পুলিশ এসে ১৬ জনকে আটক করে। এ ঘটনায় শুক্রবার রাজধানীর শাহবাগ থানায় সন্ত্রাসবিরোধী আইনে মামলা করেন এসআই আমিরুল ইসলাম। পরবর্তী সময়ে এ মামলায় তাদের গ্রেপ্তার দেখানো হয়।
অন্য আসামিরা হলেন—ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের অধ্যাপক শেখ হাফিজুর রহমান (কার্জন), সাংবাদিক মঞ্জুরুল আলম পান্না, কাজী এ টি এম আনিসুর রহমান বুলবুল, মো. মহিউল ইসলাম ওরফে বাবু, মো. আল আমিন, মো. নাজমুল আহসান, সৈয়দ শাহেদ হাসান, দেওয়ান মোহম্মদ আলী এবং মো. আব্দুল্লাহ আল আমিন।