সজল-নওশাবা বলছেন, শুটিংয়ে মারা যেতে পারতেন!
![](http://103.16.74.218/sites/default/files/styles/big_3/public/images/2021/04/10/sojol_nowshoba_cover.jpg)
‘ব্যাচ ২০০৩’ শিরোনামে একটি ওয়েব ফিল্ম মুক্তি পেয়েছে গেল ৮ এপ্রিল। পার্থ সরকারের পরিচালনায় এই ফিল্মে বিস্ফোরণের একটি দৃশ্যে অভিনয় করেছেন আবদুন নূর সজল ও কাজী নওশাবা আহমেদ। ওই দৃশ্য প্রসঙ্গে তাঁরা বলেন, শুট চলাকালে দুর্ঘটনায় মারা যেতে পারতেন!
এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানা গেছে, ওয়েব ফিল্মটির একটি দৃশ্যে তাঁদের দুজনকে দেখা যায় একটি স্কুল বা কলেজের সায়েন্স ল্যাবরেটরিতে। সেখানেই গল্পের প্রয়োজনে আগুন লাগানোর একটা বিষয় ছিল।
সেই দৃশ্যের শুটিং প্রসঙ্গে সজল বলেন, ‘সায়েন্স ল্যাবরেটরি এমনিতেই অনেক ঝুঁকিপূর্ণ, তার ওপর বিস্ফোরণের দৃশ্য। যথেষ্ট সাবধানতা অবলম্বন করেই শট নিয়েছেন পরিচালক। কিন্তু তার পরও হুট করে আগুন এত লাফিয়ে ওঠে যে আমার ভ্রু পুড়ে গেছে বেশ খানিকটা। আমরা দুই ক্যামেরায় শুট করছিলাম। চিত্রগ্রাহক ও পরিচালক দুজনেই ক্যামেরা চালাচ্ছিলেন; কারণ, এ ধরনের শট বারবার টেক দেওয়ার সুযোগ নেই। তাই যত সমস্যাই হোক না কেন দুজনের কেউই রোল কাটেননি।’
![](http://103.16.74.218/sites/default/files/styles/big_3/public/images/2021/04/10/sojol_nowshoba_2.jpg)
নওশাবা বলেন, ‘সজল এখানে অ্যান্টাগোনিস্ট একটা চরিত্র করেছে। আমার কাজ ছিল একটা তরল মেডিসিন ছুড়ে মেরে টেবিলের ওপর আগুন ধরিয়ে ফেলা। কিন্তু সম্ভবত টেবিলের ওপর কেমিকেল বেশি পড়ে গিয়েছিল বা আমার ছুড়ে মারায় কোনো সমস্যা ছিল। মুহূর্তেই আমার আর সজল ভাইয়ের সামনে অনেক উঁচু হয়ে দাউ দাউ করে আগুন জ্বলে ওঠে। প্রচণ্ড তাপ এসে লাগছিল গায়ে। খুব ভয় পেয়েছিলাম। আমার বেশ কিছু চুল পুড়ে যায় শটে। কিন্তু পরিচালক ও চিত্রগ্রাহক কেউই ক্যামেরা বন্ধ করেননি।’
রাফায়েল আহসানের গল্পে ওয়েব ফিল্মটির চিত্রনাট্য ও পরিচালনা করেছেন পার্থ সরকার। ওয়েব ফিল্মটিতে আরও অভিনয় করেছেন শিপন, ক্রিস্টিয়ানো তন্ময়, মৌসুম প্রমুখ। ওয়েব ফিল্মটি বিনজে দেখতে খরচ হবে মাত্র ৫ টাকা।