শ্রীদেবীর মৃত্যু নিয়ে মুখ খুললেন অর্জুন কাপুর
অর্জুন কাপুরের মা মোনা শোউরি কাপুর জীবিত থাকতেই শ্রীদেবীর সঙ্গে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন বনি কাপুর। এমনকি মোনার অসুস্থ হওয়া এবং মারা যাওয়ার পরও সেখানে হাজির হননি বনি। ফলে বাবা-ছেলের মধ্যে একটি অঘোষিত দ্বন্দ্ব সেদিন থেকে শুরু হয়। তবে চলতি বছরের ২৪ ফেব্রুয়ারি দুবাইয়ের একটি হোটেলে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে বাথটাবে ডুবে পরপারে পাড়ি জমান শ্রীদেবী। তাঁর মৃত্যুতে বাবা-ছেলের মধ্যকার দ্বন্দ্বের অবসান হলেও নিজের সৎমায়ের মৃত্যু নিয়ে এত দিন নিশ্চুপ ছিলেন অর্জুন। তবে অবশেষে মুখ খুলেছেন তিনি।
জিনিউজের খবরে প্রকাশ, টুইটারে এক ভক্তের জবাবে সৎমায়ের মৃত্যু এবং তাঁদের মধ্যকার পারিবারিক সম্পর্ক নিয়ে মন্তব্য করেন তিনি। আকাঙ্খ শাহ নামের এক ভক্তের টুইটের জবাবে অর্জুন লিখেন, ‘হাই আকাঙ্খ, আমি এবং আমার বোন আনসুলা কাপুর আমাদের মাকে (শ্রীদেবী) প্রতিমুহূর্তে মনে করি। তিনি চাইতেন, আমাদের মধ্যে যাই হোক না কেন, আমরা যেন আমাদের বাবার (বনি কাপুর) পাশে দাঁড়াই। সেখানে জাহ্নবী কাপুর বা খুশি কাপুর থাকুক, তাতেও আমাদের কিছু যায়-আসে না। ধন্যবাদ আমাদের মায়ের প্রতি আপনার মূল্যবান মন্তব্যের জন্য। সে বেঁচে থাকলে হয়তো বলত, ঈশ্বর আপনার ভালো করুন।’
প্রকাশ্য কোনো দ্বন্দ্ব না থাকলেও শ্রীদেবীর কারণেই অবহেলার স্বীকার হয়েছিলেন অর্জুন কাপুর—এমনটাই মনে করেন দুই পরিবারের ঘনিষ্ঠজন। কিন্তু শ্রীদেবীর মৃত্যু বদলে দিয়েছে সব সমীকরণ। শ্রীদেবীর মৃত্যুতে শুটিং বাতিল করে দুবাই গিয়েছিলেন অর্জুন। এ ছাড়া সম্প্রতি সোনম কাপুর ও আনন্দ আহুজার বিয়েতে একসঙ্গে দেখা গেছে বনি, জাহ্নবী, খুশি ও অর্জুন কাপুরকে।
১৯৮৩ সালে মোনা শোউরি কাপুরের সঙ্গে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন বনি কাপুর। প্রথম স্ত্রীর ঘরে অর্জুন কাপুর ছাড়াও আনসুলা নামের একটি কন্যাসন্তান হয় বনির। ১৯৯৬ সালের ২ জুন শ্রীদেবীর সঙ্গে আবার বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন বনি কাপুর। জাহ্নবী কাপুর ও খুশি কাপুরের জন্ম হয় বনি-শ্রীদেবীর ঘরে।