‘জালালের গল্প’ ছবির জন্য দর্শকের কাছ থেকে প্রশংসা পাচ্ছি : মোশাররফ করিম
![](http://103.16.74.218/sites/default/files/styles/big_3/public/images/2015/09/06/photo-1441522244.jpg)
ঢাকা এবং দেশের বিভিন্ন প্রেক্ষাগৃহে চলছে আবু শাহেদ ইমন পরিচালিত ‘জালালের গল্প’ চলচ্চিত্রটি। ছবিতে গুরুত্বপূর্ণ একটি ভূমিকায় অভিনয় করেছেন মোশাররফ করিম। ৪ সেপ্টেম্বর বাংলাদেশে মুক্তি পায় ছবিটি। এর আগে পর্তুগালে ১৯তম আভাঙ্কা আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে শ্রেষ্ঠ ছবির পুরস্কার জিতেছে ‘জালালের গল্প’। ছবিতে দুর্দান্ত অভিনয়ের জন্য মোশাররফ করিম পেয়েছেন সেরা অভিনেতার পুরস্কার। পুরস্কার পাওয়ার অনুভূতি, ছবি ও অন্যান্য প্রসঙ্গ নিয়ে তিনি কথা বলেছেন এনটিভি অনলাইনের সঙ্গে।
প্রশ্ন : ১৯তম আভাঙ্কা আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে সেরা অভিনেতার পুরস্কার পাওয়ার পর আপনার কেমন লাগছে?
উত্তর : ছবিটি এখনো আমি নিজে দেখিনি। তারা পুরস্কার দিয়েছে, আমি অনেক খুশি। আমি আসলেই আনন্দিত। এখন ছবিটি আমি নিজে দেখলে বুঝতে পারব, আসলে আমি কী অভিনয় করেছি।
প্রশ্ন : আপনি কবে ছবিটি প্রেক্ষাগৃহে দেখতে যাবেন?
উত্তর : দু-একদিনের মধ্যে দেখতে যাব।
প্রশ্ন : ‘জালালের গল্প’ ছবির সংলাপগুলো অনেক জোরালো। ছবিতে কাজ করার অভিজ্ঞতা কেমন ছিল?
উত্তর : তেমন কিছুই না। শীতকালে আমরা ছবির শুটিং করেছি। ছবির সংলাপগুলো অনেক সংশোধন করেছেন পরিচালক। এমনও হয়েছে, ছবির সেটে বসেও আমরা সবাই মিলে ছবির সংলাপ সংযোজন করছি। আবার যা অতিরিক্ত মনে হয়েছে, তা বাদ দেওয়া হয়েছে।
প্রশ্ন : ‘জালালের গল্প’ ছবিটি আপনার প্রত্যাশা কি পূরণ করতে পারবে?
উত্তর : আসলে আমি ভালো বললে তো হবে না। দর্শকের ভালো লাগতে হবে। প্রিমিয়ার শোতে ছবিটি যাঁরা দেখেছেন, তাঁরা অনেক প্রশংসা করেছেন বলে শুনেছি। ফেসবুক ও ইউটিউবে অনেক ভালো ভালো কমেন্টস দেখেছি। তাতে মনে হয়েছে, ছবিটি দেখে সবাই তৃপ্তি পেয়েছেন।
প্রশ্ন : এখন ব্যস্ততা কী নিয়ে?
উত্তর : ঈদের নাটকের কাজ করছি। প্রায় প্রতিদিন শুটিং করছি। কিছুদিন ধরে আমার জ্বর। জ্বর নিয়েও কাজ করতে হচ্ছে। উপায় তো নেই। সিডিউল দিয়েছি। কাজ তো করতেই হবে। কাউকে না বলতে পারছি না।
প্রশ্ন : ঈদে আপনার অভিনীত ‘সিকান্দার বক্স’ সিরিজের নাটকগুলো ব্যাপক জনপ্রিয়তা পেয়েছে। ‘সিকান্দার বক্স’ চরিত্রটি আপনার নিজের কেমন লাগে?
উত্তর : অনেক ভালো লাগে। আমার প্রিয় একটি চরিত্র।
প্রশ্ন : ‘সিকান্দার বক্স’ নাটকটি আপনি নিজে কি কখনো টিভিতে দেখেছেন?
উত্তর : না, আমি এক পর্বও দেখিনি। আমি নাটকটির দর্শক এখনো হইনি।
প্রশ্ন : নিজের কাজ না দেখার প্রধান কারণ কী? সময় পান না নাকি অন্য কিছু?
উত্তর : বিষয়টি ঠিক সে রকম নয়। আমার নাটক আমি একটু কম দেখি। কারণ ভয় লাগে। নাটকে কী করছি, না করছি, যা করছি তা তো করেই ফেলেছি। আমি নিজের কাজে কখনো তৃপ্তিবোধ করি না।
প্রশ্ন : এখন মিডিয়ায় কাজের পরিবেশ কেমন বলে আপনার মনে হয়?
উত্তর : এখন জায়গাটাকে আর প্রফেশনাল মনে হয় না। খুব ভালো কাজও যে আমরা করতে পারছি, সেটাও মনে হয় না।
প্রশ্ন : আপনার এ রকম মনে হওয়ার কারণ কী? এর সমাধানের উপায় কী?
উত্তর : আমার কাছে এর কোনো সমাধান নেই। চ্যানেলের সঙ্গে যাঁরা সংশ্লিষ্ট আছেন, তাঁরা ভালো বলতে পারবেন। আমি যদি কবি-লেখক হতাম, তাহলে শুধু লিখেই চলতাম। এভাবে সৃষ্টিশীল কাজ উপহার দিতাম। কিন্তু একটা নাটক অর্থ ছাড়া বানানো তো সম্ভব নয়। একটা ভালো নাটক বানাতে যে পরিমাণ অর্থ প্রয়োজন, সেটা চ্যানেল কর্তৃপক্ষরা দেয় না। তার পরও যে ভালো কাজ হচ্ছে, এটাই বিস্ময়ের। আর এটা হওয়ার পেছনের প্রধান কারণ হলো এই জায়গায় যাঁরা কাজ করছেন, তাঁদের প্রত্যেকেরই নিজের কাজের প্রতি ভালোবাসা রয়েছে। এখন নাটকে যে ক্যামেরা ব্যবহার করা হয়, সেটা আসলে করা ঠিক নয়। বিশ্ব এখন এগিয়ে চলেছে। অনেক উন্নত প্রযুক্তি ব্যবহার করা প্রয়োজন। আসলে এসব কথা একজন ক্যামেরাম্যান, পরিচালক ও অভিনয়শিল্পী যাঁরা আছেন, তাঁরাই শুধু ভাবেন আর কেউ ভাবেন বলে আমার মনে হয় না। যাঁরা কাজ করছেন, তাঁদের এই প্রেমের কারণে এখনো ভালো নাটক নির্মিত হচ্ছে।
প্রশ্ন : ঈদের বিশেষ নাটক ও অন্য সময়ের নাটকের মধ্যে কোনো পার্থক্য আছে বলে কি আপনি মনে করেন?
উত্তর : না। সব শিল্পই এক। শুধু ঈদের নাটক নয়, প্রতিটি নাটকই আমার কাছে বিশেষ মনে হয়।