শেষের পথে গঙ্গা-যমুনা উৎসব

যেকোনো কিছুই শুরু হয় শেষ হবে বলেই। বহু প্রতীক্ষিত ‘গঙ্গা-যমুনা নাট্য ও সাংস্কৃতিক উৎসব-২০১৫’ শুরু হয়েছে গত শুক্রবার আর শেষ হতেও বাকি নেই বেশি দিন। চতুর্থবারের মতো এই আয়োজনটি করেছে গঙ্গা-যমুনা নাট্যোৎসব পর্ষদ। বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির জাতীয় নাট্যশালা মিলনায়তন ও পরীক্ষণ থিয়েটার হলে ১২ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত চলবে এ উৎসব। নয় দিনের এ উৎসবে অংশগ্রহণ করে চলছে বাংলাদেশ ও ভারতের ৫৩টি নাট্যদল ও সাংস্কৃতিক সংগঠন। উৎসবের বাকি আছে আর মাত্র তিন দিন। এই তিন দিনের মধ্যে ১০ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যা ৭টায় পদাতিক নাট্য সংসদ (টিএসসি) মঞ্চস্থ করবে ‘ম্যাকবেথ’ ও ‘থিয়েটার’; বেইলী রোড নিয়ে আসছে ‘কোকিলারা’। এ দুটো নাটকের নির্দেশনায় রয়েছেন সুদীপ চক্রবর্তী। অভিনেত্রী ফেরদৌসী মজুমদারের একক অভিনয়ে সমৃদ্ধ ‘কোকিলারা’ নাটকটি দীর্ঘ ছয় মাস পর নাটকের দল থিয়েটার (বেইলী রোড) মঞ্চে নিয়ে আসছে।
১১ সেপ্টেম্বর নাগরিক নাট্য সম্প্রদায় নিয়ে আসছে ‘দেওয়ান গাজীর কিসসা’, জাতীয় নাট্যশালা মিলনায়তনে। ১১ সেপ্টেম্বর শিল্পকলা একাডেমির মূল মিলনায়তনে আসাদুজ্জামান নূরের নির্দেশনায় দীর্ঘদিন পর মঞ্চস্থ হবে নাটক ‘দেওয়ান গাজীর কিসসা’। জার্মানির বের্টোল্ড ব্রেখটর গল্প থেকে দেওয়ান গাজীর কিসসা রূপান্তর করেছেন আসাদুজ্জামান নূর।
১১ সেপ্টেম্বর প্রাঙ্গণেমোর ‘শেষের কবিতা’ নাটক নিয়ে হাজির থাকবে এক্সপেরিমেন্টাল থিয়েটার হলের মঞ্চে। ১২ সেপ্টেম্বর ঢাকা থিয়েটার জাতীয় নাট্যশালায় উপস্থাপন করবে ‘ধাবমান’ এবং মহাকাল নাট্য সম্প্রদায় ‘নীলাখ্যান’ নিয়ে আসছে এক্সপেরিমেন্টাল থিয়েটার হলের মঞ্চে।
গত ৪ সেপ্টেম্বর শুরু হওয়া এই উৎসবে উদ্বোধনী মঞ্চনাটক হিসেবে পরিবেশিত হয় ‘ছাড়িগঙ্গা’। এই নাটকে অভিনয় করেন পশ্চিমবঙ্গের খ্যাতিমান অভিনেতা সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়। নাটকটিতে ‘জ্ঞানেন্দ্র’ চরিত্রে অভিনয় করেন তিনি। শুক্রবারের এই পরিবেশনের মাধ্যমে শুরু, এর পর উৎসব চলছে আপন গতিতে।
এখন অবশ্য উৎসব এগিয়ে যাচ্ছে শেষ মুহূর্তের দিকে। প্রতিদিন শিল্পকলায় জমে উঠছে আড্ডা, দর্শক-নাট্যকর্মী-শিল্পী আর সাংবাদিকদের। বাইরের প্রাঙ্গণে মেতে উঠেছে হৈ-হুল্লোড় আর গানের সুরে।