আমি হুমায়ুন ফরীদির ভীষণ ভক্ত : শিবপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়

শিবপ্রসাদ মুখোপাধ্যায় ও নন্দিতা রায় পরিচালিত ‘বেলাশেষে’ ছবিটি মুক্তি পেয়েছিল গত বছরের মে মাসে। এক বয়স্ক দম্পতি আর তাদের সন্তানদের জীবনযাপনই কেবল নয়, জীবনবোধের বিচিত্র আখ্যান ঘিরে গড়ে ওঠা এই ছবি দারুণ সাড়া ফেলেছিল দর্শকের মধ্যে। কলকাতা পেরিয়ে গতকাল বৃহস্পতিবার ঢাকার বসুন্ধরা স্টার সিনেপ্লেক্সেও ‘বেলাশেষে’ ছবিটির প্রিমিয়ার হয়েছে। সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় অনুষ্ঠিত এই প্রিমিয়ার শোতে উপস্থিত ছিলেন ছবির মূল কারিগর শিবপ্রসাদ ও নন্দিতা। প্রদর্শনী শেষে এনটিভি অনলাইনের সঙ্গে সিনেমা-প্রসঙ্গ ছাড়িয়েও অনেক বিষয়ে আলাপ করেছেন শিবপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়।
প্রশ্ন : বাংলাদেশে ‘বেলাশেষে’ ছবির প্রিমিয়ার হলো। কেমন লাগছে আপনার?
উত্তর : অসাধারণ অনুভূতি। বাংলাদেশের দর্শকের আন্তরিকতায় আমি মুগ্ধ। বোঝা গেল, সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায় ও স্বাতীলেখা সেনগুপ্তের অনেক ভক্ত রয়েছে বাংলাদেশে। বিশেষভাবে আরেকটা কথা বলতে চাই, বাংলাদেশে ছবি প্রিমিয়ার হওয়ার ঘটনা আমার কাছে ঐতিহাসিক মনে হচ্ছে। আমার মনে হয়, বাংলা ভাষাভাষী সব মানুষের কাছে আমাদের ছবি পৌঁছানো দরকার। তাহলে দর্শক হলমুখী হবেন। এতে আমাদের ছবি দেখানোর পরিধিটাও বাড়বে। পশ্চিমবঙ্গের সঙ্গে এটা আমাদের চ্যালেঞ্জও বলতে পারেন।
প্রশ্ন : কলকাতায় বাংলাদেশের ছবি প্রিমিয়ার হতে চলেছে। বিষয়টা কীভাবে দেখছেন আপনি?
উত্তর : আমি স্বাগত জানাই। এটা হওয়া খুব জরুরি। তাহলে আমাদের জনগোষ্ঠীর শক্তি গোটা পৃথিবী দেখতে পারবে। এটা ইতিবাচক দিক।
প্রশ্ন : এখন বাংলাদেশ-ভারত যৌথ প্রযোজনায় অনেক ছবি নির্মিত হচ্ছে। আপনার কি যৌথ প্রযোজনায় ছবি বানানোর ইচ্ছা রয়েছে?
উত্তর : নিশ্চয়ই। আমি যৌথ প্রযোজনায় ছবি বানাতে খুব আগ্রহী। বাংলাদেশের শিল্পীদের আমি ভীষণ পছন্দ করি। ‘বেলাশেষে’ ছবিতে বিপাশা হায়াত অভিনয় করলে অনেক ভালো হতো। আমি অভিনয়ের জন্য প্রথমে বিপাশা হায়াতকে ফোন করেছিলাম। এর পর শমী কায়সারকেও বলেছিলাম অভিনয়ের জন্য। কিন্তু তাঁরা দুজনেই অনেক ব্যস্ত ছিলেন। তাই সম্ভব হয়নি। তবে তাঁদের নিয়ে কাজ করার ইচ্ছাটা এখনো আমার মরে যায়নি।
প্রশ্ন : বাংলাদেশের কোন ছবিটি মনে দাগ কেটেছিল?
উত্তর : অনেক ছবিই। এর মধ্যে ‘আহা’ ও ‘গেরিলা’ চমৎকার। অনেকবার দেখেছি। ‘আহা’ ছবিতে হুমায়ুন ফরীদির অভিনয় ছিল দুর্দান্ত। আমি হুমায়ুন ফরীদির ভীষণ ভক্ত। এ ছাড়া জয়া আহসানের ‘গেরিলা’ ছবিটিও খুব ভালো লেগেছে আমার। জয়া তো কলকাতায়ও ছবি করে বেশ সুনাম কুড়িয়েছেন।
প্রশ্ন : শুনেছি আপনি বাংলাদেশের গান অনেক শোনেন...
উত্তর : একদম তাই। হাবিব, মাইলস, জেমস ও অর্ণবের গান দারুণ। প্রায় তাদের গান শোনা হয়।
প্রশ্ন : ঢাকায় আবার কবে আসবেন?
উত্তর : আমি প্রথম ঢাকায় এসেছিলাম ২০০৭ সালে। এরপর এবার এসেছি মাত্র একদিনের জন্য। দেখা যাক, সময় করে আবারো আসব। ঢাকায় আসতে ভালোই লাগে।
‘বেলাশেষে’ স্টার সিনেপ্লেক্স ছাড়াও বলাকা, ব্লকবাস্টার সিনেমাস, শ্যামলী, আনন্দ, শাহীন সিনেমা হলে মুক্তি পাচ্ছে। ছবিটি এ দেশের দর্শকের কাছে মুক্তির পর থেকে বেশ প্রশংসিত হয়েছিল। অন্যদিকে, শিহাব শাহীন পরিচালিত ‘ছুঁয়ে দিলে মন’ পশ্চিমবঙ্গে মুক্তি পাবে চলতি মাসের ২৬ তারিখ।