‘বাজি’ গান দিয়ে ফিরলো কোক স্টুডিও বাংলা

মুক্তি পেল কোক স্টুডিও বাংলার নতুন গান ‘বাজি’। এতে একসঙ্গে মিশেছে পাহাড়ি আদিবাসী সুর, লোকবাদ্য আর শহুরে লোকগান। শনিবার (২৩ আগস্ট) রাত সোয়া ৮টায় প্রকাশিত গানটি তৃতীয় মৌসুমের চতুর্থ আয়োজন।
কম্পোজিশন, সঙ্গীতায়োজন ও কণ্ঠে আছেন ইমন চৌধুরী। সঙ্গে কণ্ঠ দিয়েছেন কবি ও সংগীতশিল্পী হাশিম মাহমুদ। তার লেখা গানটি এক সাধারণ নারীর প্রেমকাহিনীকে তুলে এনেছে কোমল ও নিষ্পাপ আবেগের গল্পে।
‘সরোদ’-এর মতো ঐতিহ্যবাহী যন্ত্রে ইমনের বাজনা, পাহাড়ি বাদ্যযন্ত্রের মাধুর্য আর উপজাতীয় লোকশিল্প মিলে তৈরি করেছে এক সিনেম্যাটিক সুর। তাতে ধরা দিয়েছে বর্তমানের গল্পের সাথে লোকস্মৃতির সংযোগ।
গানটিতে অংশ নিয়েছে টাঙ্গাইলের শতবর্ষী ‘ধুয়া গানের দল’। বাঁশি বাজিয়েছেন কিয়ো উ প্রু মারমা, আর তার দাদি ম্রাকোইচিং মারমা গেয়েছেন বিলুপ্তির পথে থাকা মারমা ভাষার গান। বান্দরবানের পাহাড় থেকে উঠে আসা এই কণ্ঠ যেন সংস্কৃতি সংরক্ষণের এক অমূল্য নিদর্শন।
বাওম নৃত্যশিল্পীরা পরিবেশন করেছেন ঐতিহ্যবাহী নৃত্য, মনিপুরী সম্প্রদায়ের শিল্পীরা উপস্থাপন করেছেন ‘পুং চোলম’-এর আক্রোবেটিক্স। নাচ, ছন্দ আর বাদ্যযন্ত্র মিলিয়ে ‘বাজি’ হয়ে উঠেছে এক সাংস্কৃতিক উৎসব।
গানটি নিয়ে ইমন চৌধুরী বলেন, ‘আমরা দারুণ উচ্ছ্বসিত শ্রোতাদের জন্য “বাজি” নিয়ে আসতে পেরে। এর প্রতিটি অংশে শিল্পীরা তাদের সবটুকু দিয়েছেন—কথা, সুর, নাচ, ভিজ্যুয়াল—সবকিছু মিলিয়ে এটি বাংলাদেশের প্রতিচ্ছবি।’
বাংলাদেশের বহুমাত্রিক সংস্কৃতিকে তুলে ধরার ধারাবাহিকতায় তৈরি এই গান এখন শোনা যাচ্ছে কোক স্টুডিও বাংলার ইউটিউব চ্যানেল ও স্পটিফাইতে।