খোসপাঁচড়া চেনার উপায় কী?
স্কেবিজ বা খোসপাঁচড়া শীতের প্রচলিত সমস্যা। খোসপাঁচড়া চেনার উপায় জানিয়েছেন ডা. প্রদীপ কুমার বণিক।
বর্তমানে তিনি শেরেবাংলা মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে চর্ম ও যৌন বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক হিসেবে কর্মরত। এনটিভির নিয়মিত আয়োজন স্বাস্থ্য প্রতিদিন অনুষ্ঠানের ৩৬১৮তম পর্বে সাক্ষাৎকারটি প্রচারিত হয়।
প্রশ্ন : খোসপাঁচড়া চেনার উপায় কী?
উত্তর : আসলে স্কেবিজ বা খোসপাঁচড়া খুব প্রচলিত রোগ হওয়ার জন্য রোগীরাই এসে বলে, আমার এই রোগ হয়েছে। একটি দানার মতো হয়, সেই দানার মধ্যে চুলকানি হয়। সেখান থেকে হালকা রক্তক্ষরণ হয়। দীর্ঘদিন ধরে চিকিৎসা না নিলে বা অপচিকিৎসা নিলে এক্সিমাটাইজেশন হয়। খুব সামান্য একটি অসুখ, এর জন্য প্যারাসাইট তৈরি হয়। এটি খুব ছোঁয়াচে। শীতের সময় যেহেতু অনেকেই একই লেপে বা কাঁথায় থাকে, তাই এ সমস্যা হয়।
আর এই রোগটির জন্য দায়ী হলো সারকোপ্রিস স্কেবিআই নামে একটি প্যারাসাইট। এটি আবার দুই রকম। একটি বার হোমিনিস্ট। এটি মানুষের স্কেবিজ করার জন্য দায়ী। আরেকটি হলো ক্যানাইল স্কেবিজ। কুকুর, বিড়াল, গবাদি পশুর কাছ থেকেও মানুষের শরীরে স্কেবিজ আসতে পারে।
একসময় বলা হতো, অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে থাকা, নিয়মিত গোসল না করা, পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন না থাকার কারণে স্কেবিজ হয়। তবে আজকাল আমরা এক ধরনের স্কেবিজ পাই, যেটি উচ্চবিত্তের মধ্যে হয়। আমাদের স্কুল-কলেজে ছাত্রছাত্রীর আধিক্য বেশি। সেখানে বাচ্চারা খুব কাছাকাছি থাকে। এ থেকে বাচ্চার হয়। কিছু প্রতিষ্ঠান থেকে ছড়ায়। যেখানে মানুষ বেশি থাকে, সেখান থেকে ছড়ায়।
এ ছাড়া একই তোয়ালে-গামছা অনেকে ব্যবহার করলে সেখান থেকে ছড়ায়। আর জেন্টেলমেন স্কেবিজ খুব মজার। আমরা অনেক রাজনীতিবিদ পাই, যারা অনেকের সঙ্গে হাত মেলায়। এখান থেকে অনেক সময় স্কেবিজটা হয়। এদের স্কেবিজ জটিল নয়। একটু আলাদা। তাদের দৃশ্যমান নডিউল থাকে না। কিন্তু তাদের চুলকানি থাকে। লালচে একটি জায়গা থাকে, একটু চুলকায়। আমরা সেটি দেখলে বুঝতে পারি। স্কেবিজের চিকিৎসা দিলে সেটি ভালো হয়ে যায়।
কিছু নির্দিষ্ট অংশ রয়েছে, শরীরে যেখানে স্কেবিজ বেশি হয়। যেমন হাতে আঙুলের ভাঁজ, রিস্ট জয়েন্টের সামনে হয়, শরীরের বিভিন্ন ভাঁজে বেশি হয়। বগল, জননাঙ্গ ও নাভির পাশে হয়।