গন্ধ শুঁকে ক্যানসার শনাক্ত করতে পারে কুকুর!

ক্যানসারের নাম শুনলে আঁতকে ওঠেন প্রায় সবাই। এই ব্যাধির মৃত্যুঝুঁকি জনমনে তীব্র আতঙ্ক ছড়াতে যথেষ্ট। অধিকাংশ ক্ষেত্রেই এই রোগ শনাক্ত হতে দেরি হওয়ায় মৃত্যুর হার বেড়ে যায়। তবে ক্যানসার শনাক্তে এবার সহায়ক হতে পারে কুকুর।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম জি নিউজের প্রতিবেদনে জানা যায়, বিশ্বস্ত প্রাণী হিসেবে কুকুরের পরিচিতি রয়েছে অনেক আগে থেকেই। কুকুরের তীব্র ঘ্রাণশক্তি অনেক সময় সম্ভাব্য দুষ্কৃতকারীকে অপ্রস্তুত করে দেয়। এবার কুকুরের ঘ্রাণশক্তি ব্যবহৃত হতে পারে ক্যানসার শনাক্তে। কেননা, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডার ‘আমেরিকান সোসাইটি ফর বায়োকেমিস্ট্রি অ্যান্ড মলিকিউলার বায়োলজি’র গবেষকরা দাবি করছেন, প্রায় ৯৭ শতাংশ ক্ষেত্রেই নির্ভুলভাবে ক্যানসার শনাক্ত করতে পারে কুকুর। তবে এ জন্য কুকুরের সুনির্দিষ্ট প্রশিক্ষণের প্রয়োজন বলে জানান তাঁরা। দীর্ঘদিন গবেষণার পর এ তথ্য উঠে এসেছে।
জানা যায়, এ পরীক্ষার জন্য চারটি বিগল প্রজাতির কুকুরকে বিশেষভাবে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়। দীর্ঘদিন প্রশিক্ষণ দেওয়ার পর ফুসফুসের ক্যানসারে আক্রান্তদের রক্তের সিরাম এবং সম্পূর্ণ সুস্থ ব্যক্তিদের রক্তের সিরামের মধ্যে পার্থক্য নির্ণয় করতে সক্ষম হয় ওই কুকুরগুলো। গবেষকদের দাবি, ৯৬ দশমিক ৭ শতাংশ ক্ষেত্রেই নির্ভুলভাবে ক্যানসার আক্রান্ত ব্যক্তির রক্তের গন্ধ আলাদাভাবে শনাক্ত করতে সক্ষম হয় ওই চারটি বিগল প্রজাতির কুকুর।
গবেষক দলের প্রধান অধ্যাপক হিথার জ্যানকুয়েরা জানান, কুকুরের ঘ্রাণশক্তি মানুষের তুলনায় ১০ হাজার গুণ বেশি শক্তিশালী। তাই এ পদ্ধতিতে কুকুরের ঘ্রাণশক্তি ব্যবহার করে যদি প্রাথমিক পর্যায়েই রোগ শনাক্ত করা যায়, সে ক্ষেত্রে ক্যানসার সারিয়ে রোগীর বাঁচার সম্ভাবনা অনেকটাই বেড়ে যাবে। কারণ, ক্যানসার যত দ্রুত ধরা পড়বে, এ রোগের চিকিৎসা করাও ততই সহজ হবে।
তবে ক্যানসার শনাক্ত করার পদ্ধতি হিসেবে এ পরীক্ষা-পদ্ধতিটির স্বীকৃতি পেতে আরও বেশ কিছুদিন অপেক্ষা করতে হবে। প্রয়োজন আরও পরীক্ষা-নিরীক্ষার।