ঋতু পরিবর্তনে শিশুদের যেসব রোগ হয়

গরম শেষ হয়ে শীত পড়তে শুরু করছে। ঋতু পরিবর্তনের এই সময় বাচ্চাদের বিভিন্ন ধরনের শারীরিক সমস্যা দেখা দেয়। এনটিভির নিয়মিত আয়োজন স্বাস্থ্য প্রতিদিন অনুষ্ঠানের ২৫৫৬তম পর্বে কথা বলেছেন অধ্যাপক ডা. সাইদা আনোয়ার। বর্তমানে তিনি ঢাকা মেডিকেল কলেজের শিশু বিভাগের ইউনিট-প্রধান হিসেবে কর্মরত আছেন।
প্রশ্ন : গরম বা বর্ষা শুরু হওয়ার পর শীতের প্রকোপ শুরু হয়েছে। এই সময়ে কিছু রোগব্যাধি বেড়ে যায় বা নতুন কিছু রোগের শুরু হয়। শিশুদের ক্ষেত্রে এই সময়ে কী কী রোগব্যাধি হয়?
উত্তর : শিশুদের তো রোগ প্রতিরোধশক্তি অনেক কম। যখনই একটু ঋতু পরিবর্তন হয়, বড়দের তো হয়ই, তবে শিশুদেরও বেশি পরিমাণ ঠান্ডা কাশি, রোগব্যাধি অনেক বেড়ে যায়। যেমন জ্বর হয়। অনেক জ্বর হয়। ভাইরাস জ্বর প্রধানত। এরপর পাতলা পায়খানার প্রকোপ বেশি বেড়ে যায়।
ডেঙ্গু হতে পারে। এটি একধরনের ভাইরাস জ্বর। আরো কিছু ভাইরাস জ্বর আছে, এখন নতুনভাবে দেখা যাচ্ছে। যেমন হ্যান্ড ফুট মাউথ ডিজিজ। এই জিনিসগুলো আমাদের মাথায় রাখতে হবে। র্যাশ হলেই যে সব ডেঙ্গু জ্বর তা কিন্তু নয়।
প্রশ্ন : হ্যান্ড ফুট মাউথ ডিজিজ কী?
উত্তর : এ রোগে কিছুদিন জ্বর থাকার পর হঠাৎ করে দেখা যাবে, লাল লাল, দানা দানা উঠে যাচ্ছে। সেগুলো উঠছে বিশেষ করে আপনার হাতের তালু, হাতে পায়ে পাল্পের মতো। মনে হবে যে একটু রক্তক্ষরণের মতো হচ্ছে। আর জিহ্বার মধ্যে মুখের ভেতর গলার ভেতর, যেমন লাল লাল, পানি পানি, অনেক সময় একদম লাল হয়ে থাকে। বাবা মায়েরা বাচ্চাদের ক্ষেত্রে খুব স্পর্শকাতর থাকে এবং এ রকম দেখলে ভীষণ ঘাবড়ে যায়।
প্রশ্ন : এই রোগ শীতের সময় বেশি হয় কেন?
উত্তর : এই রোগটি ভাইরাস জ্বর। এটা এমনিতেই চলে যায়।
প্রশ্ন : এটা যে ডেঙ্গু নয়, সেটি বোঝার উপায় কী?
উত্তর : ডেঙ্গু হলে এমন পুরো শরীরে হবে। রক্তক্ষরণের জন্য ডেঙ্গুতে র্যাশ হয়। আরেকটি হলো অ্যালার্জির জন্য র্যাশ হতে পারে। ডেঙ্গুতে তিনদিন র্যাশ থাকে। অতিরিক্ত পায়ে ব্যথা, গায়ে ব্যথা, মাথায় ব্যথা থাকবে। এরপর তিনদিন পরে জ্বর কমে যায়। কমে গেলে দুদিন ভালো থাকে। ওই দুদিনে একদম জ্বর থাকে না। ওই সময় র্যাশ ওঠে। হ্যান্ড ফুট মাউথে হাতে পায়ে মুখে লাল ছোপ ছোপ দেখা দেবে।
প্রশ্ন : হ্যান্ড ফুট মাউথের চিকিৎসা কী?
উত্তর : এর চিকিৎসা হলো বাবা-মাকে আশ্বস্ত করা, যে এটা সেরে যাবে, এতে কিছু হবে না। পানি খাবে বেশি করে। আর যদি চুলকায় তাহলে অ্যান্টি হিসটামিনের একটি বিষয় আছে। অ্যান্টিবায়োটিকের এখানে কোনো ভূমিকা নেই।